পাইলট রবিন সিংহ ছিলেন অভিজ্ঞ—৬১৬০ ঘণ্টা উড়ানের অভিজ্ঞতা ছিল তাঁর ঝুলিতে। তিনি চেয়েছিলেন, খারসালি হেলিপ্যাডে নিরাপদে পৌঁছে দেবেন যাত্রীদের, যেখান থেকে মাত্র ৬ কিমি দূরেই গঙ্গোত্রী মন্দির।
আরও পড়ুন: চিন্নাস্বামীতে পদপিষ্টে ১১ জনের মৃ*ত্যুর কারণ বিরাট কোহলি! RCB-কেও দায়ি করল কর্ণাটক সরকার…
দিনের শুরুতেই যেন দুর্যোগের ইঙ্গিত ছিল৷ আকাশ যেন সেদিন প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ছিল। যাত্রার মাত্র ২০ মিনিটের মাথায় হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। পাইলট দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন জরুরি অবতরণের। গন্তব্য হয় উত্তরকাশী-গঙ্গোত্রী হাইওয়ের পাশের খোলা এলাকা।
advertisement
কিন্তু মাটিতে নামার আগেই ঘটে সেই ভয়ানক মুহূর্ত—হেলিকপ্টারের প্রধান রটার আঘাত করে রাস্তার পাশেই থাকা এক ওভারহেড ফাইবার কেবলে। মুহূর্তেই ভারসাম্য হারিয়ে ধসে পড়ে হেলিকপ্টারটি। আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একের পর এক প্রিয় মুখ চিরতরে হারিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চলন্ত বাসে সন্তান জন্ম, জানলা দিয়ে ছুঁড়ে ফেললেন মা! নবজাতকের মৃ*ত্যু, গ্রেফতার দম্পতি
দুর্ঘটনায় মারা যান পাইলট সহ ছয়জন—রবিন সিংহ (৬০), বিজয়লক্ষ্মী রেড্ডি (৫৭), রাধা আগরওয়াল (৭৯), রুচি আগরওয়াল, কালা চন্দ্রকান্ত সোনি (৬১), ও বেদান্তি (৪০)। একমাত্র জীবিত যাত্রী মাকতূর ভাস্কর (৫১), অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা, যিনি গুরুতর জখম অবস্থায় হেলি-অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হন AIIMS ঋষিকেশে।
এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB)-এর প্রাথমিক রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে—হেলিকপ্টারের রটার ওভারহেড কেবলে আঘাত করায়ই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে—উচ্চ দুর্গম এলাকায় চলাচলকারী হেলিকপ্টারগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি যথেষ্ট?
সাতটি প্রাণ, একটি ভুল মুহূর্ত এবং একটি প্রশ্ন—এই যাত্রার শেষ গন্তব্য কি শুধুই ভগবানের শরণ?