বৃহস্পতিবার মুম্বই কোর্টে দফায়-দফায় টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন হেডলি ৷ ভারতে আসার আগে আইএসআইয়ের মেজর ইকবাল হেডলিকে ২৫ হাজার মার্কিন ডলার দেন ৷ পরে মুম্বই পৌঁছানোর পর ফের হেডলির কাছে টাকা আসে ৷ লস্করের মুম্বই হামলা প্রজেক্টের অপারেশনাল চিফ সাজিদ মীর দু’দফায় ৪০ হাজার পাকিস্তানি মুদ্রা পাঠায় হেডলির কাছে ৷ ২০০৮-এ মেজর ইকবাল নিয়মিত ভারতীয় টাকা পাঠাত হেডলিকে ৷ এছাড়াও হেডলির বয়ানে এদিন যা উঠে এল তা অনেকটা এরকম-
advertisement
- ২০০৬-এর ১৪ই সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ের তারদেও এসি মার্কেটে অফিস খোলে হেডলি৷
- সেইবছর ১১ই অক্টোবর মুম্বইয়ে থাকাকালীন ডক্টর তাহাব্বুর রানার থেকে ৬৬ হাজার ৬০৫ টাকা পায় হেডলি৷
- ৭ই নভেম্বর তাহাব্বুর রানার থেকে কাজের জন্য ফের ৫০০ ডলার পাঠায় ৷
- সব টাকাই ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্কের নরিম্যান ব্র্যাঞ্চের মাধ্যমে আসত বলে জানিয়েছে হেডলি
- হামলার আগে রেইকি করতে তাহাব্বুর রানা নিজে মুম্বইতে এসেছিল । তাকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল হেডলিই
- ২০০৮-এর ১৬ জুলাই মুম্বই অফিসের লাইসেন্স পুর্ননবীকরণের আবেদন জানায় হেডলি ৷ সেই আবেদন গৃহীত হয়েছিল ৷
- ভারতে বিজনেস অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছেও আবেদন জানিয়েছিল হেডলি । সেই আবেদন অবশ্য খারিজ হয়ে যায় ৷
হেডলির তৃতীয়দিনের বয়ানে হামলার পরিকল্পনার আর্থিক দিকে পাকিস্তানের যোগসূত্রের দিকটি দিনের আলোর মতো স্পষ্ট ৷ তবে হেডলির এদিনের সাক্ষ্যের মূল দিকটি ইশরত জাহান সংক্রান্ত তথ্য ৷