তুষারাবৃত এমন দুই রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকায় পর্যটনস্থল। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের কারণে পর্যটন আপাতত প্রায় বন্ধ। বহু পর্যটক ফিরে এসেছেন এবং অনেকেই ট্যুর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে বরফে ঢাকা এমন শৈলশহর ও পাহাড়ের প্রাকৃতিক শোভা থেকে বঞ্চিতই থাকতে হচ্ছে ভ্রমণবিলাসীদের। জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার বিশাল এলাকা বরফে মুড়ে রয়েছে। হরসিল, মোরি, বারকোট, উপলা তাকনৌরে প্রচুর বরফ পড়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মাস্ক পরুন দয়া করে, করোনা সচেতনতায় গড়িয়াহাটের হকাররা! দেখুন
গত দু'দিন ধরে ক্রমাগত তুষারপাত হয়ে চলেছে এই এলাকাগুলিতে। গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী মন্দিরও বরফের চাদরে ঢেকে রয়েছে। জেলার দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এলাকার প্রায় ৭০টি গ্রাম তুষারে ঢেকে রয়েছে গত কয়েকদিন ধরেই। সাধারণ জনজীবন একেবারে স্তব্ধ। নেই কোনও যান চলাচলও। ঋষিকেশ-গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়ক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সুক্কির উপর থেকে হিমালয়া মন্দির পর্যন্তও রাস্তা বন্ধ।
আরও পড়ুন: মঙ্গলসূত্র গলায় বাড়ির বউ ক্যাটরিনা কাইফ, দেখুন ঘরোয়া মেজাজে নায়িকা...
রুদ্রপ্রয়াগ ও চামোলিতে বৃষ্টিও হয়েছে। বদ্রীনাথ ও কেদারনাথেও বরফ পড়েছে। অন্যদিকে, শিমলাতেও প্রচুর বরফ পড়েছে গত কয়েকদিন ধরে। দেরাদুনের নীচের এলাকাগুলিতে বৃষ্টিও হয়েছে। শিমলা ও মানালিতে তুষারপাত হয়েই চলেছে। নারকান্ডা, জুব্বাল, কোটখাই, কুমারসেন, রোহরু ও চোপালের সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। বৃষ্টিতে ভিজে ও তুষারে ঢেকে রয়েছে ধর্মশালা, পালামপুর, সোলান, নাহান, বিলাসপুর, উনা, হামিরপুর ও মান্ডির বিস্তীর্ণ এলাকা।