এইমস সহ কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত সমস্ত হাসপাতালেই এই নির্দেশিকা কঠোর ভাবে বলবৎ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এমআর-দের জন্য কোনওভাবেই যাতে হাসপাতালের রোগীদের চিকিৎসা অথবা হাসপাতালের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্যও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানানোর জন্য ই মেল অথবা অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমের সাহায্য নিতে পারেন মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভরা৷
advertisement
মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ বা এমআর-দের বিরুদ্ধে রোগীদের অভিযোগ নতুন কিছু নয়৷ দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল, এমআর-দের সময় দিতে গিয়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগগুলিতে রোগীদের দেরিতে অথবা কম সময় দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে কাজ করা একাধিক সংগঠনের অভিযোগ ছিল, চিকিৎসকদের প্রভাবিত করার জন্য দামি উপহার, বিদেশ যাত্রার মতো একাধিক টোপ দেন এমআর-রা৷ এর ফলে একদিকে যে রোগীর চিকিৎসার সময় চিকিৎসকের সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেরকমই চিকিৎসকদের দামি উপহার, বিদেশ সফরের খরচের দাম তুলতে ওষুধের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, সবাই জানেন যে এমআর-রা শুধুমাত্র ডাক্তারবাবুদের চিকিৎসা পদ্ধতি, ওষুধ সম্পর্কে অবহিত করতে আসেন না, বরং তাঁদের উপরে নিজেদের মতামত, ধারণা চাপিয়ে দেন, এমন কি এক এক সময় চাপও দেওয়া হয়৷
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন জাতীয় সম্পাদক বিনয় অগ্রবালের মতে, এমআর-দের সরকারি হাসপাতালে প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ না করে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত৷ তবে কোনও এমআর যদি ওষুধ বিক্রির জন্য চিকিৎসকদের উপহার দেওয়া বা অন্য কোনও ধরনের অসাধু উপায় অবলম্বন করতে গিয়ে ধরা পড়েন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি৷