পুলিশ সূত্রে খবর, আশ্রমের ভিতরে বাস করেন শ’দুয়েক আশ্রমিক। শুধু বাসই করেন না, এই বাবার ভক্তরা দান করেন লাখ লাখ টাকাও। তার একটি তালিকা টাঙানো পেল্লাই দরজার বাইরে। যে তালিকায় দানের অর্থ কারও ৫০ হাজার, কারও বা ১ লাখ। কারও তার থেকেও বেশি। ২০০ জনের তালিকার ১৫০ জনের কাছাকাছিই মৈনপুরির বাসিন্দা।
advertisement
আরও পড়ুন: সভা করতে এসে চুঁচুড়ার যুবককে ‘চিনে’ রেখেছিলেন মোদি, এবার বাড়িতে এল চিঠি! ঘটনা শুনলে চমকে উঠবেন
এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের দাতারাও। শুধু মৈনপুরিই নয়, অন্তত চার-পাঁচটি আরও আশ্রম রয়েথে এই বাবার। বুধবারও ‘ভোলে বাবা’র ভক্তরা আসছেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। দর্শন না পেলেও, ‘বাবা’ দোষী, সেটা মানতে নারাজ তাঁরা। তাঁদের কথায় উনি ‘বাবা’ও নন, উনি নাকি পরমাত্মা।
এদিকে, হাথরসে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। শেষ পাওয়া খবর, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২১। এর মধ্যে এসডিএমের তরফে ডিএমকে হাথরসের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই ভোলে বাবা সৎসঙ্গ শেষ করে যখন NH ৯১ ধরে মৈনপুরির দিকে রওনা হন, তখন ভক্তরা রাস্তায় বেরিয়ে আসতে চান, স্বঘোষিত বাবার পায়ের ধুলো নেওয়ার জন্য।
অনেকেই বাবা-র চলে যাওয়া রাস্তায় ঝুঁকে পড়ে মাথায় ধুলো লাগাচ্ছিলেন। কেউ আবার ঝাঁপান বাবা-কে স্পর্শ করতে। বাবা পর্যন্ত যাতে ভিড় না পৌঁছতে পারে, তার জন্য অগণিত মানুষকে রাস্তায় আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন বাবা-র পার্ষদরা। যার জেরে বহু লোক রাস্তা থেকে পাশের ক্যানালে পড়ে যান। পদপিষ্ট হন বহু।