ছোট ছোট ভিডিও এবং নাচের রিলের মাধ্যমে, রবিনা ইনস্টাগ্রামে ৩৪,০০০-এরও বেশি ফলোয়ার সংগ্রহ করেছেন। ইউটিউবে তার ভিডিও সিরিজে অন্যান্য শিল্পীও ছিলেন। ভিডিও তৈরিতে মগ্ন রবিনা তাঁর পরিবারের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও কন্টেন্ট তৈরি চালিয়ে যান, এমনকি এই বিষয়টি নিয়ে তার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়াও করেন।
গত ২৫ মার্চ, ৩৫ বছর বয়সি প্রবীণ আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন রবিনা-সুরেশকে৷ এর পরই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। অভিযোগ, এরপর রবিনা এবং সুরেশ তাঁকে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরিবারের সদস্যরা প্রবীণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, রবিনা কিছু না জানার ভান করে বলে অভিযোগ।
advertisement
পরে সেই প্রায় রাত ২.৩০ নাগাদ তারা প্রবীণের মৃতদেহ একটি বাইকে করে নিয়ে যায় এবং রবিনার বাড়ি থেকে ছ’ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দিন্নোদ রোডের পাশে নর্দমায় ফেলে দেয়। ২৮ মার্চ প্রবীণের পচন ধরা দেহ খুঁজে পায় পুলিশ। পরে তার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, হেলমেট পরা এক ব্যক্তি বাইকে চড়ে আসছে এবং মুখ ঢাকা রবিনা বাইকের পিছনের আসনে বসে আছে। তাঁদের দু’জনের মাঝে রাখা ছিল প্রবীণের নিথর দেহ। প্রায় দু’ ঘণ্টা পরে, একই আরোহীর সঙ্গে একই বাইকে বসে বাড়ি ফিরে আসে রবিনা। তবে এই সময়, তাদের মাঝখানের মৃতদেহটি ছিল না।
গ্রেফতারের পর রবিনা এবং সুরেশ দু’জনেই এখন কারাবন্দি। এদিকে, রবিনা এবং প্রবীণের ছ’ বছরের ছেলে এখন তার ঠাকুরদা সুভাষ এবং কাকা সন্দীপের সঙ্গে আছে। প্রসঙ্গত সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মেরঠে প্রমিকের সঙ্গে চক্রান্ত করে মুসকান তার স্বামীকে হত্যা করে৷ খুনের পরে মার্চেন্ট নেভি যুবকের নিথর দেহ টুকরো টুকরো করে সিমেন্ট দিয়ে ড্রামে আটকে দেওয়ার এক মাস পর হরিয়ানার হিসারে এই হত্যাকাণ্ড ঘটল।
