‘পাত্রী’ সুইটির অভিভাবিকা সবিতা ওরফে রানি সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘‘আমি পশুপ্রেমী৷ আমরা স্বামী স্ত্রী দু’জনে মিলে পোষ্যর খেয়াল রাখি৷ আমার কোনও সন্তান নেই৷ তাই সুইটি আমাদের সন্তান৷’’ কী করে সুইটিকে পেলেন তাঁরা? জানিয়েছেন সে পর্বও৷ সবিতার স্বামী মন্দিরে গিয়ে পশুপাখিদের খাওয়াতেন৷ বছর তিনেক আগে তার পিছু পিছু মন্দির লাগোয়া এলাকা থেকে বাড়ি পর্যন্ত চলে আসে রাস্তার একটি কুকুর৷ তার পর থেকে সে-ই বড় হয়ে ওঠে সুইটি নামে৷
advertisement
কন্যাসম স্নেহে সুইটিকে বড় করার পর পরিচিত জন ও পড়শিরা এই দম্পতিকে বলেন তাঁদের ‘মেয়ের’ বিয়ে দেওয়ার জন্য৷ এর পর তাঁদের কথায় অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেন সুইটির ‘বাবা মা’৷ মাত্র চার দিনের মধ্যে বিয়ে ঠিক করে ফেলেন মেয়ের৷ চারপেয়ের বিয়ে বলে হেলাফেলা নয়৷ রীতিমতো সব অনুষ্ঠান পালন করে শেরু ও সুইটির ‘আট হাত’ এক হল৷ গায়ে হলুদ বা হলদি থেকে মেহেন্দি, পালিত হয়েছে বিয়ের সব পর্ব৷
আরও পড়ুন : নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি কমাতে আজ জরুরি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী
‘পাত্র’ শেরুর পালিকা মানিতা জানিয়েছেন গত ৮ বছর ধরে শেরু তাদের পরিবারের সদস্য৷ নিজেদের সন্তান হিসেবেই তাকে বড় করে তুলেছেন তাঁরা৷ পড়শিদের সঙ্গে গল্পচ্ছলেই ওঠে পোষ্যর সারমেয়র বিয়ের প্রস্তাব৷ তার পর দেখতে দেখতে একদিন এসেই গেল বিয়ের দিনক্ষণ৷ পাত্র শেরু এবং পাত্রী সুইটি দু’জনেই যে বাধ্য হয়ে সব রীতি রেওয়াজ পালন করেছে, সে কথাও জানিয়েছেন তাদের অভিভাবকরা৷
সকলে যে এই উদ্যোগ ভাল ভাবে নিয়েছেন, তাও নয়৷ উড়ে এসেছে ঠাট্টা মশকরাও৷ কিন্তু শেরু ও সুইটির অভিভাবকরা সে সব কান না দিয়ে শুনেছেন তাঁদের মনের কথাই৷ তবে মেয়েকে বিদায় জানিয়ে মনখারাপ সুইটির বাবা, পেশায় চা বিক্রেতা রাজার৷ জানিয়েছেন বিয়ের জন্য শাড়ি থেকে বাসনপত্র সব কিনে এনেছিলেন৷ তিন বছর পর তাঁদের বাড়ি আবার ফাঁকা হয়ে গেল৷