TRENDING:

গায়ে হলুদ, মেহেন্দির পর ‘সাতপাকে বাঁধা’ দুই পোষ্য সারমেয়, জমিয়ে ভোজ খেলেন বরযাত্রী-সহ ১০০ অতিথি

Last Updated:

Pet Dogs' Wedding: ছাপানো হয়েছিল ২৫ টি আমন্ত্রণপত্র। ছিল অনলাইনে নিমন্ত্রণের ব্যবস্থাও

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
গুরগাঁও : পোষ্য সারমেয়র বিয়ে উপলক্ষে হৈ চৈ গুরগাঁওয়ে। ভারতীয় বিবাহরীতির প্রাচীন রীতিনীতি মেনে তাঁদের পোষা কুকুরের বিয়ে দিলেন স্থানীয় এক দম্পতি। পাত্র, প্রতিবেশীর পোষ্য সারমেয়। গুরগাঁওয়ের পালাম বিহার এক্সটেনশনে জৈল সিং কলোনিতে শেরু এবং সুইটির বিয়ে উপলক্ষে নিমন্ত্রণ খেলেন একশো জন অতিথি। তাঁদের জন্য ছাপানো হয়েছিল ২৫ টি আমন্ত্রণপত্র। ছিল অনলাইনে নিমন্ত্রণের ব্যবস্থাও৷ ঢোলের বাজনার সঙ্গে নাচগান করতে করতে জাঁকজমক করে হাজির হয়েছিলেন বরযাত্রীরা।
শেরু এবং সুইটির বিয়ে উপলক্ষে নিমন্ত্রণ খেলেন একশো জন অতিথি (ছবি-নেট মাধ্যম)
শেরু এবং সুইটির বিয়ে উপলক্ষে নিমন্ত্রণ খেলেন একশো জন অতিথি (ছবি-নেট মাধ্যম)
advertisement

‘পাত্রী’ সুইটির অভিভাবিকা সবিতা ওরফে রানি সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘‘আমি পশুপ্রেমী৷ আমরা স্বামী স্ত্রী দু’জনে মিলে পোষ্যর খেয়াল রাখি৷ আমার কোনও সন্তান নেই৷ তাই সুইটি আমাদের সন্তান৷’’ কী করে সুইটিকে পেলেন তাঁরা? জানিয়েছেন সে পর্বও৷ সবিতার স্বামী মন্দিরে গিয়ে পশুপাখিদের খাওয়াতেন৷ বছর তিনেক আগে তার পিছু পিছু মন্দির লাগোয়া এলাকা থেকে বাড়ি পর্যন্ত চলে আসে রাস্তার একটি কুকুর৷ তার পর থেকে সে-ই বড় হয়ে ওঠে সুইটি নামে৷

advertisement

কন্যাসম স্নেহে সুইটিকে বড় করার পর পরিচিত জন ও পড়শিরা এই দম্পতিকে বলেন তাঁদের ‘মেয়ের’ বিয়ে দেওয়ার জন্য৷ এর পর তাঁদের কথায় অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেন সুইটির ‘বাবা মা’৷ মাত্র চার দিনের মধ্যে বিয়ে ঠিক করে ফেলেন মেয়ের৷ চারপেয়ের বিয়ে বলে হেলাফেলা নয়৷ রীতিমতো সব অনুষ্ঠান পালন করে শেরু ও সুইটির ‘আট হাত’ এক হল৷ গায়ে হলুদ বা হলদি থেকে মেহেন্দি, পালিত হয়েছে বিয়ের সব পর্ব৷

advertisement

আরও পড়ুন : নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি কমাতে আজ জরুরি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী

‘পাত্র’ শেরুর পালিকা মানিতা জানিয়েছেন গত ৮ বছর ধরে শেরু তাদের পরিবারের সদস্য৷ নিজেদের সন্তান হিসেবেই তাকে বড় করে তুলেছেন তাঁরা৷ পড়শিদের সঙ্গে গল্পচ্ছলেই ওঠে পোষ্যর সারমেয়র বিয়ের প্রস্তাব৷ তার পর দেখতে দেখতে একদিন এসেই গেল বিয়ের দিনক্ষণ৷ পাত্র শেরু এবং পাত্রী সুইটি দু’জনেই যে বাধ্য হয়ে সব রীতি রেওয়াজ পালন করেছে, সে কথাও জানিয়েছেন তাদের অভিভাবকরা৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

সকলে যে এই উদ্যোগ ভাল ভাবে নিয়েছেন, তাও নয়৷ উড়ে এসেছে ঠাট্টা মশকরাও৷ কিন্তু শেরু ও সুইটির অভিভাবকরা সে সব কান না দিয়ে শুনেছেন তাঁদের মনের কথাই৷ তবে মেয়েকে বিদায় জানিয়ে মনখারাপ সুইটির বাবা, পেশায় চা বিক্রেতা রাজার৷ জানিয়েছেন বিয়ের জন্য শাড়ি থেকে বাসনপত্র সব কিনে এনেছিলেন৷ তিন বছর পর তাঁদের বাড়ি আবার ফাঁকা হয়ে গেল৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
গায়ে হলুদ, মেহেন্দির পর ‘সাতপাকে বাঁধা’ দুই পোষ্য সারমেয়, জমিয়ে ভোজ খেলেন বরযাত্রী-সহ ১০০ অতিথি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল