দলের পাশাপাশি পতাকাও সামনে এনেছেন তিনি। নতুন দলের পতাকায় রয়েছে তিনটি রং হলুদ, সাদা এবং নীল। এই তিনটি রং স্বাধীনতা এবং ঐক্যের প্রতীক বলে জানিয়েছেন আজাদ। কাশ্মীরের মানুষের সাধারণ, দৈনন্দিন সমস্যার কথা তুলে ধরবে আজাদ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। কংগ্রেস ছাড়লেও গুলাম নবি জানান, বিজেপিতে যাবেন না তিনি।
আরও পড়ুন - দেবী দুর্গার পুজোর আবহে মেতেছে বঙ্গ! নবরাত্রিতে কিছু নিয়ম মানুন তাহলে ভাগ্য হবে সুপ্রসন্ন
advertisement
গত মাসে দল থেকে ইস্তফা দেন গুলাম নবি। দলের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধির কাছে একটি পাঁচ পৃষ্ঠার নোট পাঠিয়েছেন যেখানে তিনি দলের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সম্পর্ক এবং ইন্দিরা গান্ধির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা বলেছেন। স্বাস্থ্য সমস্যা উল্লেখ করে জম্মু ও কাশ্মীরের সাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগ করার কয়েকদিন পরই, গুলাম নবী আজাদ তাঁর বিশদ পদত্যাগপত্রে লেখেন কংগ্রেস দলের পরিস্থিতি 'নো রিটার্ন'-এর পর্যায়ে পৌঁছেছে। গুলাম নবি আজাদের লেখা পাঁচ পাতার চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'রাহুল গান্ধি দলে সক্রিয় হওয়ার পর দল কার্যত ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে। দলে কোনো গণতন্ত্র নেই। প্রবীণ নেতাদের কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে।' বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পদত্যাগপত্রে দাবি করেছেন, ২০১৪ সালে ইউপিএ সরকারের হারের অন্যতম কান্ডারি রাহুল গান্ধিই। তাঁর অপরিণতমনস্কতা এবং ছেলেমানুষিই এই পরাজয় ডেকে আনে। যেভাবে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের পাশ করানো একটি অর্ডিন্যান্স প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন, তাতেই প্রচারের হাতিয়ার পেয়েছিল বিরোধীরা।’’
চিঠিতে গুলাম নবী আরও উল্লেখ করেন, “২০১৪ সালের পর রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেস দুটি লোকসভা নির্বাচনে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে। ৪৯টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে ৩৯টি হেরেছে। এর মধ্যে কংগ্রেস নিজের দমে মাত্র ৪টি রাজ্যের বিধানসভা ভোটে জিতেছে। আর ৬ বার জোটসঙ্গীদের সঙ্গে ক্ষমতায় এসেছে। দুঃখজনকভাবে আজ কংগ্রেস মাত্র দুটি রাজ্যে ক্ষমতায়। আর দুটি রাজ্যে শাসক জোটের প্রান্তিক শক্তি।”
আজাদ বলছেন, “২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর দলের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। এর মধ্যে রাহুল দলকে বিপদে ফেলে ইস্তফা দিলেন। তার আগেই অবশ্য দলের প্রবীণ নেতাদেরও যথেচ্ছভাবে অপমান করেছেন রাহুল।”
RAJIB CHAKRABORTY