চলন্ত এই আমগাছ লোকমুখে জীবন্ত কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছে৷ প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটক আমগাছটিকে দেখতে আসেন৷ গ্রামবাসীদের মত, এই বিস্ময়গাছ গত দুশো বছরে নিজের আসল জায়গা থেকে অন্তত ২০০ মিটার সরে গিয়েছে৷ এবং এখনও তার ‘হাঁটাচলা’ চলছে৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন প্রাচীন এই গাছ তাঁদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে৷
গাছটির মূল কাণ্ড থেকে শাখাপ্রশাখা ভূমির সঙ্গে সমান্তরালে বিস্তৃত হয়েছে৷ একই ভাবে বার হচ্ছে নতুন শিকড়ও৷ বৃদ্ধ গ্রামবাসীদের মতে, ১৩০০ বছর আগে যখন প্রথম পার্সিরা এখানে থিতু হতে এসেছিলেন, তখন এই আমগাছটি রোপণ করা হয়েছিল৷
advertisement
আরও পড়ুন : অধিকাংশ পুরুষের পছন্দ নীল রং, নারীদের পাল্লা ভারী সবুজ, গোলাপির দিকে, এর পিছনে আছে বিশেষ কারণ, জেনে নিন
প্রসঙ্গত ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী, উপকূলীয় সঞ্জন গ্রামের পত্তন হয়েছিল পার্সি শরণার্থীদের হাতেই৷ তাঁরা ৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে আশ্রয়ের সন্ধানে এসেছিলেন ভারতের গুজরাতে৷ বৈচিত্রময় এই অংশের খুব কাছেই আছে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল দমন, যা অতীতে ছিল পর্তুগিজ কলোনি৷
সঞ্জন গ্রামে ভালি আহমেদ আচ্চুর বাগানে আছে এই বিস্ময়কর আমগাছ৷ ঐতিহ্যবাহী গাছটি ক্রমশ পূর্বদিকে সরছে৷ আদিবাসী-সহ স্থানীয় গ্রামবাসীরা পুজোও নিবেদন করেন প্রাচীন এই আমগাছের উদ্দেশে৷ পবিত্র মনে করে গাছটিকে তাঁরা সংরক্ষণ করেছেন৷