প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে গত ২৬ জানুয়ারি প্রকাশ্য দিবালোকে রত্নজীকে আক্রমণ করে দুই অভিযুক্ত৷ পেশায় রাজমিস্ত্রি রত্নজী তখন তাঁর সহকারীদের সঙ্গে একটি বাড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত ছিলেন৷ সেই সময় লোহার রড এবং ছুরি নিয়ে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই আততায়ী৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দিনের আলোয় সকলের সামনেই রত্নজীকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে তাঁর প্রেমিকার দুই সন্তান৷ তীব্র আঘাতের অভিঘাতে বেরিয়ে আসে তাঁর অন্ত্র৷ তার পরেও থামেনি হামলকারীরা৷ এর পর তাঁরা ওই অন্ত্র হাতে নিয়ে বাতাসে ওড়াতে থাকে৷ তার পর সেটাও কয়েকটা খণ্ডে কেটে ফেলে৷ রত্নজীর সহকারীদের মধ্যে কেউ কেউ তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে ব্যর্থ হন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা৷
advertisement
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে অনেক বছর ধরে রত্নজীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল অভিযুক্তদের মায়ের৷ তাঁদের প্রণয় কোনও দিনই মেনে নেয়নি দুই ভাই৷ তাঁদের দাবি ছিল এই সম্পর্কের জন্য তাঁদের পরিবারে লজ্জায় পড়তে হত৷ এই ঘটনায় নিহতের ছেলে অজয় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন৷ তিনি পুলিশকে বলেছেন দুই অভিযুক্ত ভাই অনেক বার হুমকি দিয়েছিল তার বাবাকে৷ বলেছিল, তার মায়ের থেকে দূরে থাকতে৷ এমনকি, এর আগেও তারা রত্নজীর উপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ৷ দীর্ঘ বিবাদের জেরে গ্রামে পঞ্চায়েতে সালিশি সভাও বসে৷ কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি৷
আরও পড়ুন : বাচ্চাদের খেলার পার্ক থেকে রাস্তার সংস্কার, কর্মীদের জন্য ঢেলে সাজছে রেলের কোয়ার্টার
খুনের পর ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় দুই অভিযুক্ত ভাই৷ তবে মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ তাদের ধরে ফেলে৷ খুনের জন্য ব্যবহৃত অস্ত্রও আটক করা হয়েছে৷