বনাসকাণ্ঠার জেলাশাসক মিহির প্যাটেল জানান, ” মঙ্গলবার সকাল ৯.৪৫ নাগাদ ডীসা শিল্পতালুক এলাকায় একটি বড় বিস্ফোরণের হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, গোটা কারখানা ধসে পড়ে। দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ১৩ জন শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হয়। ৪ জন শ্রমিক গুরুতর আহত, তাঁদের- মধ্যে দু’জনকে ডীসা সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, অন্য দু’জন পালামপুর সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কারখানার ধ্বংসস্তূপে কোনও শ্রমিক চাপা পড়ে আছেন কী না, তা দেখছে উদ্ধারকারী দল। ”এর পরে পুলিশি সূত্রে আরও ৪ জনের মৃত্যুর খবর মেলে।
advertisement
বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ১০৮ টি অ্যাম্বুল্যান্স। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কারখানার গান পাউডার ইউনিটে বিস্ফোরণ হয়, যার থেকে গোটা কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে, পার্শ্ববর্তী একটি ওয়্যারহাউজ ভেঙে পড়ে, কারখানার ধ্বংসাবশেষ ২০০ মিটার দূরে পর্যন্ত উড়ে গিয়ে পড়ে। ছড়িয়ে ড়িটিয়ে যায় মৃতদের দেহাংশ। জানা যায়, যখন বিস্ফোরণ হয়, সেই সময় শ্রমিকরা বাজি বানাচ্ছিলেন। বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত মৃত্য হয়েছে ১৭ জনের। দমকল আধিকারিক ও উদ্ধারকারী দলের অনুমান, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। দুর্ঘটনার সময় কারখানায় মোট কতজন শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন, এখন বর্তমানে কতজন শ্রমিক সুরক্ষিত আছেন, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও অফিশিয়াল তথ্য মেলেনি।