আসন কমলেও গুজরাতের তখত নরেন্দ্র মোদির হাতেই থাকছে। গুজরাতে দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটের পর মোদির পক্ষেই ইঙ্গিত দিয়েছিল সবকটি ভোট পরবর্তী সমীক্ষা। তবে মোদি ঝড়ের ইঙ্গিত মিলল না। বরং সবকটি সমীক্ষার ফল মিলিয়ে দেখলে বিজেপির শক্তি কমারই সম্ভাবনা। হিমাচলে অবশ্য গেরুয়া ঝড়েরই ইঙ্গিত।
গুজরাতে সম্মানের লড়াইয়েও জয় আসছে। ভোটপর্ব শেষে পর নরেন্দ্র মোদিকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে জানান ভোট পরবর্তী সমীক্ষা। দেশের সবকটি প্রথম সারির সমীক্ষাই জানাল, গুজরাত ফের সরকার গড়ছে বিজেপি। কংগ্রেস কিছুটা লড়াই দিলেও লক্ষ্যপূরণ হচ্ছে না রাহুল গান্ধির। ১৩৫ থেকে ১১০ টি আসন নিয়ে গুজরাতে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি।
advertisement
নির্বাচনের সম্ভাব্য ফল নিয়ে কী উঠে এল বিভিন্ন ভোট পরবর্তী সমীক্ষায়?
টুডেস চাণক্য- বিজেপি ১৩৫, কংগ্রেস ৪৭
রিপাবলিক টিভি- বিজেপি ১১৫, কংগ্রেস ৬৫
ইন্ডিয়া টুডে- বিজেপি ৯৯-১১৩, কংগ্রেস ৬৮-৮২
টাইমস নাও- বিজেপি ১০৯, কংগ্রেস ৭০
সাহারা সময়- বিজেপি ১১০-১২০, কংগ্রেস ৬৫-৭৫
টিভি নাইন -বিজেপি ১০৮, কংগ্রেস ৭৪
সমীক্ষা থেকে অন্য কয়েকটিও বিষয়ও স্পষ্ট।
শহরাঞ্চল ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রভাব ধরে রাখছে বিজেপি
৷ গ্রামে ভোট কমলেও ধস আটকানো গিয়েছে
৷ হার্দিক প্যাটেল সহ অন্য ইস্যুতে তুলনায় কম ভোট কেটেছে ৷
গুজরাতে যখন এই অবস্থা, তখন অন্য ছবি হিমাচল প্রদেশে। মোদি ঝড়ের ইঙ্গিত স্পষ্ট সব সমীক্ষাতেই।
নির্বাচনী সমীক্ষার ফল অনেক সময়েই মেলে না। তার প্রমাণ বারেবারেই মিলেছে। এবারও সমীক্ষার ফল দেখে তা মানতে নারাজ কংগ্রেস সহ বিরোধীরা।
গুজরাত ও হিমাচল। এই রাজ্য দখলে এলে আবারও প্রতিষ্ঠিত হবে ব্র্যান্ড মোদি। বিজেপির পোস্টারবয় নতুন আত্মবিশ্বাস নিয়ে ঝাঁপাতে পারবেন ২০১৯ এ।