গত এক বছর ধরে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে জিএসটি বিল নিয়ে অনেকটা ঐকমত্যে পৌঁছতে পেরেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যগুলির দাবি মেনে, বিলে আনা হয়েছে নটি সংশোধনী।
বিল পাশের লক্ষ্যে, গত এক বছর ধরে তর্ক বিতর্কের পর কংগ্রেস, তৃণমূল ও বামেদের সমর্থন আদায় করে নিয়েছেন অরুণ জেটলিরা। কিন্তু, শুরু থেকেই জিএসটি-র বিপক্ষে জয়া আম্মার তামিলনাড়ু। গত বছর লোকসভায় পাশ হওয়া বিলটিতে আনা হয়েছে নটি সংশোধনী । মঙ্গলবারই, সাংসদদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ওই বিলের সংশোধনীগুলি।
advertisement
জিএসটি বিলে সংশোধনী
আগে বলা হয়েছিল, ১% অতিরিক্ত কর বসানো হবে। এখন সংশোধনীতে সেই ১% কর তুলে দেওয়া হয়েছে।
জিএসটি চালু করে রাজ্যগুলি ক্ষতির মুখে পড়লে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি আগের বিলে ছিল না। বিলের সংশোধনীতে রাজ্যগুলিকে ৫ বছর ধরে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি জোড়া হয়েছে।
আগে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে করের ভাগাভাগিতে করের ঊর্ধ্বসীমা উল্লেখ করা ছিল না ৷ এখন করের ঊর্ধ্বসীমা স্থির করতে জিএসটি কাউন্সিল গড়ার বিষয়টি সংশোধনীতে জোড়া হয়েছে। সেই পরিষদই করের ঊর্ধ্বসীমা স্থির করবে।
বিলকে একশো ভাগ সমর্থন জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। জিএসটি লাগু হলে রাজ্যের লাভ দেখছে শাসকদল। কিন্তু, শুরু থেকেই বিরোধিতা জিইয়ে রেখেছেন জয়ললিতা। এডিএমকে-র দাবি, তামিলনাড়ুর মতো উৎপাদনশীল রাজ্যে জিএসটি চালু করলে বড়সড় আর্থিক ক্ষতি হবে। যদিও, বুধবার বিল পাশ হয়ে গেলেও এখনই চালু হচ্ছে না এই নয়া কর আইন।
তাই, ভিত খোঁড়ার কাজ শেষ হলে আগামী শীতকালীন অধিবেশনে সেন্ট্রাল সার্ভিস ট্যাক্স, স্টেট সার্ভিস ট্যাক্স ও ইন্টার সার্ভিস ট্যাক্স নামে মোট তিনটি বিল আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিলগুলি পাশ হয়ে গেলে জিএসটি চালুতে আর বাধা থাকবে না বলেই ওয়াকিবহাল মহলের মত। ফলে, বুধবার সংসদে আলোচনা বেশ লম্বা হতে পারে বলেই ধরে নেওয়া হয়েছে। সেজন্য সময় ধরা হয়েছে দুপুর দুটো থেকে রাত দশটা পর্যন্ত।