বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা ১৯ জানুয়ারি একটি রায়ে জানান, যৌনতামূলক কার্যকলাপের অভিপ্রায়ে ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ হলে, তবেই তা যৌন নিগ্রহ হিসেবে প্রমাণিত হবে। তিনি রায়ে স্পষ্ট করে জানান, পোশাক না খুলে যদি স্তনে হাত দেওয়া হয় তাহলেও সেটি যৌন নিগ্রহের আওতায় পড়বে না। পকসোর-র ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই রায় দেওয়া হয়েছে।
advertisement
সম্প্রতি ১২ বছরের একটি কিশোরীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে ৩৯ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে ৩ বছরের সাজা শোনায় সেশনস কোর্ট। সেই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই শুনানি ঘোষণা করেন পুষ্পা গানেদিওয়াল।
জানা যায়, ২০১৬ সালে অভিযুক্ত নির্জাতিতা নাবালিকাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর স্তনে হাত দিয়ে জামা খোলার চেষ্টা করে। অভিযুক্তর নামে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে এফআইআর করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয় ব্যক্তিকে। সেশন কোর্ট তাকে ৩ বছর কারাবাসের সাজা দেয়। এরপর মামলা গড়ায় বম্বে হাইকোর্ট পর্যন্ত।
শনিবার এই মামলার শুনানিতে পুষ্পা গানেদিওয়ালা জানান, যেহুতু পোশাক না খুলে অভিযুক্ত নবালিকার স্তনে হাত দিয়েছিল, তাই পকসো আইনের আওতায় তা যৌন নিগ্রহ বলা যাবে না। তবে, ৩৫৪ (শ্লীলতাহানি) ধারায় ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই ধারায় ন্যুনতম সাজা ১ বছরের কারাবাস, পকসো ধারায় যৌন নিগ্রহের ন্যুনতম সাজা ৩ বছরের কারাবাস।