TRENDING:

থালায় সাজিয়ে দেওয়া হচ্ছে ১১ লক্ষ টাকা! ছেলের বিয়ের পণের টাকায় যা করেলন বাবা...

Last Updated:

সম্প্রতি রাজস্থানের এমনই এক পণ দেওয়ার ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা! মোটা অঙ্কের পণের টাকায় যা করলেন ছেলের বাবা, তাই হয়ে রইল নজির!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#জয়পুর: পণপ্রথা এখনও বন্ধ করা সম্ভব হয়নি৷ বেশ কিছু রাজ্যে এই প্রথা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়৷ সামাজিক রীতি মেনে এবং বিয়ের অঙ্গ হিসেবেই এই প্রথা পালন করা হয়৷ কোনও লুকাছুপি নয়, পাত্র পক্ষ তো বটেই, কনে পক্ষও অনেক সময় এই টাকা খুবই গর্ব ও আনন্দের সঙ্গে দিয়ে থাকেন! অর্থাৎ এই টাকা দেওয়াই যেন কর্তৃব্য, এর মধ্যে কোনও লজ্জা বা কুসংস্কার বোধ কাজ করে না উভয় পক্ষের৷ সম্প্রতি রাজস্থানের এমনই এক পণ দেওয়ার ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা! মোটা অঙ্কের পণের টাকায় যা করলেন ছেলের বাবা, তাই হয়ে রইল নজির!
advertisement

রাজস্থানের বুন্ডি জেলার পিপারওয়ালা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ছেলের বাগদান বা এনগেজমেন্ট ছিল৷ তাতে মিলেছিল ১১ লক্ষে টাকা পণ! তবে সেই পণের পুরো টাকাই ফিরিয়ে দিয়ে এক সামাজিক বার্তা দিলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বজ্রমোহন মীনা৷ তাঁর পুত্র রামধন মীনার বাগদান পর্বে যৌতুক হিসেবে দেওয়া ১১ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ায় প্রকাশ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

advertisement

খাজুরি পঞ্চায়েতের পিপারওয়ালা গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ব্রিজমোহন মীনা পুত্রের বাগদানের সময় নববধূর বাড়ি থেকে ১১ লক্ষ ১০১ টাকা পণ হিসেবে পেয়েছিলেন। তার মধ্যে ব্রজমোহন মীনা ১১ লক্ষ টাকা অর্থ ফেরত দিয়ে এবং যৌতুক প্রথাটির বিরুদ্ধে নতুন করে আওয়াজ তুলে সমাজকে একটি নতুন বার্তা দিয়েছেন।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

তথ্য মতে, সোমবার পিপারওয়ালার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ব্রিজমোহন মীনা তার পুত্র রামধন মীনের বাগদানের জন্য পৌঁছন পাত্রী পক্ষের বাড়ি৷ রাজস্থানের টঙ্ক জেলার উনিয়ারা তহসিলের মান্দাওয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের সোলাতপুরা গ্রামে বসেছিব বাগদানের আসর। যেখানে উপস্থিত ছিলেন পাত্রী আরতি ও তাঁর আত্মীয়রা। সেই সময়ই ঐতিহ্য মেনে যৌতুক দেওয়া হয়, যাতে পাত্রকে ১১ লক্ষ ১০১ টাকা এবং একটি গীতাও দেওয়া হয়৷ তবে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেই মোটা অঙ্কের টাকা না নিয়ে, শুধুমাত্র ১০১ টাকা হাতে তুলে নেন৷ এতে খুবই অবাক হন কনের বাড়ির সকলে৷ কেই ভাবতেই পারেননি যে এভাবে পণ ফেরত পাবেন তাঁরা৷ শ্বশুড়বাড়ি এত উদার মন দেখে খুশিতে কেঁদে ফেলেন পাত্রীর বাবা-মা৷ সকলে প্রশংসার বন্যা বইয়ে দেন৷ সকলে বলেন যে এই ঘটনা একটি উদাহরণ হিসেবে সামনে আসা উচিৎ৷ এবং এটাই বহু মানুষকে অনুপ্ররণা যোগাবে৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
থালায় সাজিয়ে দেওয়া হচ্ছে ১১ লক্ষ টাকা! ছেলের বিয়ের পণের টাকায় যা করেলন বাবা...
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল