এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন খাড়গে। প্রিয়াঙ্ক খাড়গে বলেন, “সরকার চাকরি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুবতীরা যদি সরকারি চাকরি চায়, তাঁদের উচিত কারো সঙ্গে শোওয়া। আর পুরুষদের সরকারি চাকরি পেতে ঘুষ দিতে হবে। একজন মন্ত্রী চাকরির জন্য এক তরুণীকে তাঁর সঙ্গে শুতে বলেছিলেন। কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর তিনি পদত্যাগ করেছেন এবং এটিই আমার কথার প্রমাণ।”
advertisement
আরও পড়ুন- বন্দেমাতরম লেখা, পদ্ম আঁকা পতাকা বিবর্তিত হয়েই আজকের জাতীয় পতাকা, জানুন ইতিহাস!
“আমার কাছে থাকা তথ্য অনুসারে, সম্ভবত মোট ৬০০টি পদের জন্য চুক্তি করা হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, সহকারী ইঞ্জিনিয়ার পদের জন্য ৫০ লাখ এবং জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের পদের জন্য ৩- লাখ টাকায় রফা হয়েছে। শুধুমাত্র এতেই ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে,” একটি সাংবাদিক সম্মেলনে সাম্প্রতিক নিয়োগের বিষয়ে বলেন প্রিয়াঙ্ক খাড়গে।
বিজেপির বিরুদ্ধে কর্ণাটক পাওয়ার ট্রান্সমিশন কর্পোরেশন লিমিটেডের জন্য আবেদনকারী লক্ষাধিক প্রার্থীর ‘ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা’র অভিযোগ করেছেন খাড়গে। “প্রতিটি নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম হলে দরিদ্র ও মেধাবী পড়ুয়ারা কোথায় যাবে? দুষ্কৃতী ও মধ্যস্বত্বভোগীরা জানেন কোনও কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এলেও তাঁদের কিছুই হবে না। যারা কেপিটিসিএল-এর পদের জন্য আবেদন করেছেন সরকার সেই প্রায় ৩ লাখ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে,” বলেন কংগ্রেস বিধায়ক।
আরও পড়ুন- দু'মাসের মধ্যে ফের কোভিড-১৯ আক্রান্ত কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধি!
কর্ণাটক বিজেপি পালটা আক্রমণ করে প্রিয়াঙ্ক খাড়গের উদ্দেশ্যে বলেছে, “দেশের অনেক মহিলা কঠোর পরিশ্রম করে, পড়াশোনা করে এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ও চাকরি পেতে নিজেদের সেরাটা দেয়। প্রিয়াঙ্ক খাড়গের করা মন্তব্যটি সমস্ত মহিলাদের জন্য সবচেয়ে বড় অপমান এবং তাঁকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে।”