TRENDING:

নীল তিমিকে আটকাতে এবার আসরে কেন্দ্র, গুগল-ফেসবুককে কড়া নির্দেশ সরকারের

Last Updated:

নীল তিমিকে আটকাতে এবার আসরে কেন্দ্র, গুগল-ফেসবুককে কড়া নির্দেশ সরকারের

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: নীল তিমির বিষে আক্রান্ত শৈশব ৷ ব্লু হোয়েলের হানায় অকালেই ঝরে পড়েছে বেশ কিছু প্রাণ ৷ মারাত্মক এই কম্পিউটার গেমের কারণে দেশে ছোটদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবার আসরে নামল কেন্দ্র ৷ ‘ব্লু হোয়েল’ গেম নিষিদ্ধ করল সরকার ৷
advertisement

দেশে এই মারণ গেমের মড়ক রুখতে গুগল, ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, মাইক্রোসফট, ইয়াহু ও ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্লু হোয়েল গেমের সমস্ত লিঙ্ক মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার ৷

‘আজই তোমরা আমায় শেষ দেখছো। কাল থেকে শুধু ছবিতে দেখবে।’ আবাসনের ছতলা থেকে ঝাঁপ মারার আগে ব্লু হোয়েল গেমসে এমনটাই চ্যাট করেছিল মুম্বইয়ের চোদ্দ বছরের মনপ্রীত সিং। না । বাঁচানো যায়নি ক্লাস নাইনের ছাত্রকে। ছাত্র মৃত্যুতে রহস্যের সন্ধানে নেমে ঘাতক নীল তিমির খোঁজ পাওয়া যায় । এই ঘটনায় আরও একবার স্পষ্ট হল অনলাইন গেমের ফাঁদে কতটা মজে শৈশব।

advertisement

এই সর্বনাশা নেশা বন্ধ করতেই মন্ত্রী রবিশঙ্কর বলের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রকের তরফে চিঠি দিয়ে এই মারণ গেম ব্লু হোয়েলের সমস্ত লিঙ্ক মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ চিঠিতে বলা হয়েছে ভারতে এই গেমের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে একাধিক শিশুর মৃত্যু হয়েছে ৷ তাই এই মারাত্মক গেমটিকে সমস্তধরনের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে মুছে ফেলতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার ৷

advertisement

২০১৩ সালে রাশিয়ায় শুরু হয় এই মারণ খেলা। প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দুবছর পর । প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, নীল তিমিরা মারা যাওয়ার আগে জল ছেড়ে ডাঙায় ওঠে। যেন আত্মহত্যার জন্যই । সেই থেকেই এই গেমের নাম ব্লু হোয়েল।

কী এই ব্লু হোয়েল?

---------------------

এটি একটি অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ যা যুবসম্প্রদায়কে নিজেদের ক্ষতি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়

advertisement

গ্রুপের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর প্রতিযোগীদের ৫০ দিনের চ্যালেঞ্জ দেন

সারাদিন গান শোনা, মাঝরাতে ভয়ের সিনেমা দেখার মতো প্রতিদিনই নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়

সময় যত এগোয় চ্যালেঞ্জ তত কঠিন হতে থাকে । হাত কেটে ব্লু হোয়েলের ছবি আঁকতে দেওয়া হয়

প্রতিদিনের কাজ শেষ করার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে হয়

পঞ্চাশতম কাজ হিসেবে প্রতিযোগীকে আত্মহত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়

advertisement

যাঁরা আত্মহত্যার মতো চরম পদক্ষেপ করতে ভয় পান তাদের হুমকি দেওয়া হয়, কাছের কোনও মানুষের ক্ষতি হবে

অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কে ?

-----------------

এমন একজন যে ‘প্লেয়ার’ ধরার জন্য অনলাইনে ওত পেতে বসে থাকে। কেউ গেম খেলতে রাজি হলে পর্দার আড়ালে থেকে সে খেলাটি পরিচালনা করে, অংশগ্রহণকারীদের ‘টাস্ক’ দেয়। কাজ শেষ হওয়ার পর একেই ছবি পাঠাতে হয়

হোয়েল কে ?

-----------------

এই খেলায় অংশগ্রহণকারীদের হোয়েল বলা হয়। স্বেচ্ছায় তারা এই মারণ খেলায় যোগ দেয় । এরাই অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের দেওয়া ‘টাস্ক’ করে এবং ছবি পাঠায়। গেমের শেষে এদেরই আত্মহত্যা করতে বলা হয়

কীভাবে জন্ম এই খেলার ?

---------------------

২০১৩ সালে রাশিয়ায় প্রথম সূত্রপাত

২০১৫ সালে প্রথম আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়

গেমের এক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ফিলিপ বুদেইকিন রুশ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়। তার দাবি ছিল, সমাজ সাফাই করতেই এই গেম ছড়িয়েছে সে

১৬ জন কিশোরীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ফিলিপের বিরুদ্ধে

গত মাসে মস্কোতে ব্লু হোয়েল সুইসাউড চ্যালেঞ্জের মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইউরোপীয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কের হাত ধরেই ছড়িয়েছে এই গেম

গেম নিয়ে একাধিক প্রশ্ন

-------------------------

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত এই গেমটি হাইড থাকে, তা হলে যারা এর খপ্পরে পড়েন তাঁরা কীভাবে এর সন্ধান পান ?

অনেকের দাবি, এর জন্য একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয়। অন্য সূত্র বলছে, কেউ গেমটি খেলতে চাইলে অ্যাডমিনিস্ট্রটরের খোঁজে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে #ব্লুহোয়েলচ্যালেঞ্জ, #আইঅ্যামহোয়েল লিখে পোস্ট করেন। অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিজেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷ নবীন প্রজন্ম জেনেশুনে কেন এই জীবনঘাতী খেলায় জড়াচ্ছে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন ৷

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
নীল তিমিকে আটকাতে এবার আসরে কেন্দ্র, গুগল-ফেসবুককে কড়া নির্দেশ সরকারের