৪ বছর পর স্বামীকে দেখলেন শিশুবালা রিই৷ একমাত্র ছেলে ষষ্ঠশ্রেণিতে পড়ে৷ বিদেশি নাগরিক তকমায় সুখদেবকে ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢুকিয়ে দেয় প্রশাসন৷ এরপর স্বামীকে ছাড়াতে লড়াই শুরু করেন শিশুবালা৷ নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য মামলায় প্রচুর খরচ৷
advertisement
এই ৪ বছরে সব সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন শিশুবালা৷ মামলার খরচ চালাতে চাল বাড়ন্ত৷ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ১ লক্ষ জোগাড় করে দিয়েছে৷ বাকিটা স্থানীয় বাসিন্দারা৷
২০১৬-র ২৪ জুনের ঘটনা৷ সুখদেব রিই-কে অবৈধ নাগরিক হিসেবে আটক করা হয়৷ শিলচর সেন্ট্রাল জেলের ডিটেনশন ক্যাম্পে তাঁকে রাখা হয়৷ ১ লক্ষ টাকার বন্ডে সম্প্রতি ছাড়া পেয়েছেন সুখদেব৷ অসমের ৬টি ডিটেনশন ক্যাম্পে মোট ৮৩৪ জনকে বিদেশি নাগরিক হিসেবে আটক করা হয়েছে৷ এর মধ্যে ৫৫৯ জন মুসলিম ও ২৭৫ জন হিন্দু৷
প্রায় ৪ বছর পর পরিবারকে দেখলেন সুখদেব৷ উদাসীন দৃষ্টিতে বললেন, 'সরকার আমাদের থেকে সব কেড়ে নিল৷'
অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে এখনও পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ রাজ্যসভায় সরকার জানিয়েছে, এই মৃ্ত্যুগুলি স্বাভাবিক৷ ভয়ে নয়৷