কয়েনহীন অর্থনীতির দিকেই কি পা বাড়াচ্ছে মোদি সরকার? বুধবার থেকে দেশের চারটি ট্যাঁকশালেই বন্ধ হয়ে গেল কয়েনের উৎপাদন। দেশে কয়েনের ভাঁড়ার উপচে পড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে আরবিআইয়ের সূত্র জানাচ্ছে, নির্দেশিকার পিছনে রয়েছে অন্য কারণ ৷
নোট বাতিলের পর কয়েন রাখার ভল্টের অভাব দেখা দিয়েছে আরবিআইতে ৷ কয়েনের জন্য বরাদ্দ বেশকিছু ভল্ট বাতিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে ভর্তি ৷ এই নোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি ৷ ফলে এই অবস্থায় কয়েনের জন্য জায়গা দিতে পারছে না আরবিআই ৷ দেশের চারটি ট্যাঁকশালেও যথেষ্ট পরিমাণে কয়েন মজুত ৷ এই মুহূর্তে খোলা বাজারেও প্রায় ৬৭৬ কোটি টাকার কয়েন রয়েছে ৷
advertisement
অথচ খোলা বাজারেও কয়েনের চাহিদা কমছে। ক্রেতা থেকে বিক্রেতা খুচরোয় অনীহা সকলের ৷ ব্যাঙ্কের থেকেও খুচরো ফেরানোর অভিযোগ এসেছে ৷ জায়গার কয়েনে নিতে চাইছে না ব্যাঙ্কও ৷ এই অবস্থায় উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত বোধহয় একরকম নিশ্চিত হয়েই পড়েছিল। তবে কয়েন বন্ধের সিদ্ধান্তে আগামীদিনে চাহিদায় টান পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। আর্থিক বৃদ্ধি কমা, চাকরি হারানোর পর কয়েন সঙ্কটেও আঙুল উঠছে নোট বাতিলের দিকে।
কারণ, নোট বাতিলের সময় কয়েনের চাহিদা তুঙ্গে ওঠে ৷ ২০১৬-১৭ সালে ১৪.৭ শতাংশ বেশি কয়েন বাজারে আসে ৷ নোট বাতিল পর্ব শেষ হওয়ার পর চাহিদা দ্রুত কমে ৷ প্রচুর বড় নোট বাজারে আসায় চাহিদা কমে যায় খুচরোর ৷ বাতিল নোট নিয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ভল্ট খালি করতে পারেনি আরবিআই ৷ ফলে উপছে পড়ছে কয়েন৷
তবে আরবিআই জানিয়েছে, উৎপাদন বন্ধ হলেও পুরনো কয়েন বৈধই থাকছে। কয়েন না দিলে শাস্তির মুখেও পড়তে হবে।
উৎপাদন বন্ধ হলো। ভবিষ্যতে কী এবার কয়েন বাতিলের পথে হাঁটতে চলেছে মোদি সরকার? বুধবারের পর সেই জল্পনাই আরও বাড়ল।