TRENDING:

Success Story: বাবা মা দিনমজুর, অনটনকে আশৈশব সঙ্গী করেও বিমানসেবিকা হয়ে স্বপ্নউড়ানে আদিবাসী কন্যা

Last Updated:

Success Story: ফলে আর্থিক অনটনকে সঙ্গী করেই বেড়ে উঠেছেন এই তরুণী। তবে অভাব সংসারে থাকা সত্ত্বেও ছোটবেলা থেকেই উড়ানের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। বরাবরই বিমানসেবিকা হওয়ার ইচ্ছা লালন করতেন। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ওয়েনাড় : কেরল থেকে প্রথম আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিমানসেবিকা হিসেবে নিযুক্ত হলেন ২৪ বছর বয়সি তরুণী গোপিকা গোবিন্দ। আলাক্কোড়ের কাছে কাভুনকুড়ির এসটি কলোনির বাসিন্দা গোপিকা আদতে কারিমবালা উপজাতি সম্প্রদায়ের কন্যা। তাঁর বাবা-মা পি গোবিন্দন এবং ভিজি বিজি পেশায় দিনমজুর। ফলে আর্থিক অনটনকে সঙ্গী করেই বেড়ে উঠেছেন এই তরুণী। তবে অভাবের সংসারে থাকা সত্ত্বেও ছোটবেলা থেকেই উড়ানের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। বরাবরই বিমানসেবিকা হওয়ার ইচ্ছা লালন করতেন।
ছোটবেলা থেকেই উড়ানের স্বপ্ন দেখতেন গোপিকা(Image Courtesy: Social Media)
ছোটবেলা থেকেই উড়ানের স্বপ্ন দেখতেন গোপিকা(Image Courtesy: Social Media)
advertisement

রসায়নে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন গোপিকা। ডিগ্রি অর্জনের এক বছর পর খবরের কাগজে কেবিন ক্রুর ছবি দেখে তাঁর ছোটবেলার স্বপ্নের কথা মনে পড়ে যায়। এরপর অ্যাভিয়েশন সেক্টরে প্রশিক্ষণের সুযোগ খুঁজতে থাকেন তরুণী।

সেই সময়ই গোপিকা জানতে পারেন যে, আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য সরকার-সমর্থিত একটি পাঠ্যক্রম রয়েছে। ফলে যেমন ভাবা, তেমন কাজ। এরপর ওয়েনাড়ের কলপেট্টায় ড্রিম স্কাই অ্যাভিয়েশন ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে এক বছরের ডিপ্লোমা প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে যান তিনি। আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের সহায়তা দেওয়ার এই প্রকল্পে গোপিকার কোর্স ফি-র ১ লক্ষ টাকা কভার করা হয়েছে। ফলে কোনও রকম আর্থিক বোঝা ছাড়াই নিজের লক্ষ্যে অনায়াসে এগিয়ে যেতে পেরেছেন তিনি।

advertisement

প্রশিক্ষণ শেষ করার আগেই কেবিন ক্রু-র পদের জন্য আবেদন করতে শুরু করেন গোপিকা। যদিও প্রথম ইন্টারভিউয়ে অবশ্য সিলেক্টেড হননি তিনি। তবে দ্বিতীয় প্রয়াসেই আসে সাফল্য। তিন মাসের প্রশিক্ষণের পরে অবশেষে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসে যোগ দেন গোপিকা। একজন বিমানকর্মী হিসেবে কুন্নুর থেকে মধ্যপ্রাচ্যই ছিল তাঁর প্রথম সফর।

আরও পড়ুন : অবিশ্বাস্য! ‘দম্পতির’ ১০০ বছর বয়সে জীবনে প্রথম বার সন্তানের জন্ম হল! পুরোটা জানলে চমকে যাবেন

advertisement

মনোরমা অনলাইনের কাছে গোপিকা বলেন যে, “আপনার চোখে যদি স্বপ্ন থাকে, তাহলে সাহসিকতার সঙ্গে সেই স্বপ্ন পূরণের পথে পাড়ি দিতে হবে। সেই স্বপ্ন পূরণ করার আত্মবিশ্বাসও নিজের মধ্যে রাখা উচিত। তাছাড়া কোথাও পৌঁছনো সম্ভব নয়। তবে নিজের লক্ষ্য কিংবা স্বপ্নের কথা চেঁচিয়ে গোটা দুনিয়াকে জানানোর কোনও দরকার নেই। বরং আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফলাফলই কথা বলুক।”

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

গোপিকার এই জয়যাত্রার পিছনে সরকারি প্রকল্পের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আসলে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য স্কিল ডেভেলপমেন্টের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে সরকারি স্কিমে, যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। আর উপজাতি সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা গোপিকার স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার এই সফর শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের প্রভাবকেও জোরালো করে তুলে ধরেছে।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Success Story: বাবা মা দিনমজুর, অনটনকে আশৈশব সঙ্গী করেও বিমানসেবিকা হয়ে স্বপ্নউড়ানে আদিবাসী কন্যা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল