অগ্নিকাণ্ডের পর পরই দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পালান নৈশক্লাবের দুই মালিক সৌরভ এবং গৌরব লুথরা ওরফে ‘লিথরা ব্রাদার্স’। তাঁদের দু’জনকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের সাহায্য নিচ্ছে সিবিআই, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করার জন্য ইন্টারপোলকে অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গোয়া পুলিশের তরফেও সৌরভ এবং গৌরব লুথরার বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার এলওসি জারি করা হয়েছে।
advertisement
এরইমধ্যে আচমকা সোমবার নাইটক্লাবের মালিক ও চেয়ারম্যান সৌরভ লুথরা ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করে জানান, এই মর্মান্তিক ঘটনায় কর্তৃপক্ষ ”ভীষণভাবে স্তব্ধ ও মর্মাহত”, নিহতদের পরিবারের প্রতি তাদের আন্তরিক সমবেদনা। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, নৈশক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সাহায্য ও সমর্থন করা হবে। লুথরা আরও জানান, এই দুর্ঘটনাজনিত শোক ও মানসিক আঘাতের সময় ক্লাব কর্তৃপক্ষ নিহতদের পরিবার ও আহতদের পাশে অটুটভাবে রয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ উত্তর গোয়ার ওই নৈশক্লাবে আগুন লাগে। সেই সময় ক্লাবে পর্যটক এবং কর্মী মিলিয়ে ১০০ জনেরও বেশি ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গোয়া পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের পর পরই নৈশক্লাবের দুই মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। যে সময়ে ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় তাঁরা দিল্লিতে ছিলেন। গোয়া পুলিশের একটি দল দুই ভাইকে গ্রেফতারের জন্য দিল্লি রওনা দেয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে দুই ভাইয়ের দেখা মেলে না, বাড়িতে নোটিস দিয়ে আসে পুলিশ।
তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন,দিল্লিতে সৌরভ ও গৌরবের খোঁজ না পেয়ে মুম্বইয়ে ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশন-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে। জানা যায়, রবিবার ভোর সাড়ে ৫টায় থাইল্যান্ডের ফুকেতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। তার পরই সিবিআইয়ের সাহায্যে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোয়া পুলিশ। সূত্রের খবর, ইন্টারপোলকে সিবিআই অনুরোধ করেছে লুথরা ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করা হোক। শুধু তা-ই নয়, দুই ভাইকে গ্রেফতারে তাদের সহযোগিতা করা হোক।
