সূত্রের খবর, ‘লুথরা ব্রাদার্স’-দের বিমানের শেষ সারিতে বসানো হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার ৪–৫ জন সদস্যও ছিলেন। অন্য যাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই সৌরভ ও গৌরব লুথরাকে বিমানের শেষ সারিতে বসানো হয়।
advertisement
যথাযথ নিরাপত্তা অনুমতি ছাড়াই নাইটক্লাব চালানোর অভিযোগে ব্যাংকক থেকে ‘লুথরা ব্রাদার্স’-দের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অনুমান, ক্লাবের ভিতরে জ্বালানো বৈদ্যুতিক ফায়ারক্র্যাকার থেকেই হয়তো আগুন লাগে নৈশক্লাবে। গত ৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে লেলিহান অগ্নিশিখা গিলে খায় উত্তর গোয়ার বাগা সমুদ্রসৈকতের কাছে আরপোরায় এক জনপ্রিয় নৈশক্লাব। দাউদাউ করতে জ্বলতে থাকে গোটা নাইটক্লাব। বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। কৃর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে ২০ জনই ক্লাবের কর্মী। বাকি পাঁচ জন অন্য রাজ্য থেকে বেড়াতে এসেছিলেন গোয়ায়। অগ্নিকাণ্ডের পর পরই দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পালান নৈশক্লাবের দুই মালিক সৌরভ এবং গৌরব লুথরা ওরফে ‘লুথরা ব্রাদার্স’। পরে থাইল্যান্ডে ধরা পড়েন তাঁরা।
গোয়া সরকার বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি বিশেষ আইনি দল গঠন করেছে। ভারতীয় দণ্ডবীধির ১০৫, ১২৫, ১২৫(এ), ১২৫(বি)-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই ‘লুথরা ব্রাদার্স’-এর বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করছেন, চার্জশিট তৈরির পথে।এফআইআর অনুযায়ী, অভিযুক্ত গৌরব ও সৌরভ লুথরা যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন না করে, অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখেই ক্লাবে ফায়ার শো-র আয়োজন করেছিল। অনুমান, এই ফায়ার শো-র জেরেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যাতে মৃত্যু হয় ২৫ জনের। কৃর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে ২০ জনই ক্লাবের কর্মী। বাকি পাঁচ জন অন্য রাজ্য থেকে বেড়াতে এসেছিলেন গোয়ায়। তদন্তে জানা যায়,গৌরব ও সৌরভ লুথরা নৈশক্লাবটি প্রয়োজনীয় অনুমতি বা লাইসেন্স ছাড়াই চালাচ্ছিল।
অন্যদিকে, গোয়াকাণ্ডে বম্বে হাই কোর্টের মন্তব্য, গোয়া নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাউকে তো দায় নিতেই হবে। গোয়ার ওই ঘটনায় আগে থেকেই একটি মামলা চলছে আদালতে। ওই মামলাটিকে জনস্বার্থ মামলায় বদলে দিয়েছে হাই কোর্টের গোয়া বেঞ্চ।
