পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতের অগ্নিকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই ভাই ইন্ডিগোর 6E 1073 ফ্লাইটে ভারত থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। রবিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার ওই ফ্লাইটে তাঁরা থাইল্যান্ডের ফুকেটে পৌঁছন। এরপর থেকেই তাঁরা সেখানে আত্মগোপন করে আছেন বলে গোয়া পুলিশের অনুমান।
সৌরভ ও গৌরব দিল্লিভিত্তিক ব্যবসায়ী এবং গোয়ার Birch by Romeo Lane নাইটক্লাবের মালিক। শনিবার রাত ১২টা বেজে চার মিনিটে ক্লাবটিতে ভয়াবহ আগুন লাগে। প্রচুর ধোঁয়ায় ভরে যায় পুরো পরিবেশ। অনেকেই তড়িঘড়ি বেসমেন্টে আশ্রয় নেন। ফলে শ্বাসরোধ হয়ে ২৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়; গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও কমপক্ষে ৭ জন।
advertisement
এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের হওয়ার পর গোয়া পুলিশের একটি টিম দিল্লিতে তাঁদের বাড়িতে গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। এরপরই ইমিগ্রেশন ব্যুরো লুকআউট নোটিস জারি করে, যাতে দেশের যে কোনও বিমানবন্দর বা সীমান্তে তাঁদের দেখা মাত্র গ্রেপ্তার করা যায়। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, নোটিস জারির আগেই তাঁরা বিদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘৫০০ কোটি টাকা ভর্তি সুটকেস’ মন্তব্য, সিধু-পত্নীকে সাসপেন্ড করল কংগ্রেস! তীব্র হল জল্পনা
অদ্ভুতভাবে যখন গোটা পুলিশ বাহিনী তাঁদের খুঁজে বেড়াচ্ছে ঠিক সেই সময় ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন সৌরভ লুথরা। সেখানে তিনি আগুনে মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের আশ্বাস দেন। তাঁর এই পোস্ট আরও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
অন্যদিকে, অগ্নিকাণ্ডের নতুন ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ডান্স ফ্লোরের ছাদ থেকেই আগুনের ছড়িয়ে পড়ে। ক্লাবের বড় অংশই কাঠের হওয়ায় আগুন মুহূর্তে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কালো ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা জায়গা, আর মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, সৌরভ ও গৌরবকে দেশে ফিরিয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
