নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উঠছে গাফিলতির অভিযোগও। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই নৈশক্লাবে অগ্নি নিরাপত্তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। ছিল না দমকলের ছাড়পত্রও (এনওসি)! তার পরেও কী ভাবে ক্লাবটি চলছিল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
গোয়া পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, রাত প্রায় ১টা নাগাদ নাইটক্লাবের রান্নাঘর সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে। যখন এই ঘটনা ঘটে, তখন ক্লাব ছিল ভিড়ে ঠাঁসা। ক্লাবের সদস্য, কর্মী এবং পর্যটক মিলিয়ে ছিলেন প্রায় ১০০ জনের মতো। সকলেই আনন্দ-ফূর্তি, নাচগান,খাওয়াদাওয়ায় ব্যস্ত। আচমকাই তীব্র বিস্ফোরণের শব্দে গোটা ক্লাব কেঁপে ওঠে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আগুন ধরে যায় গোটা নাইটক্লাবে। ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। অনেকেই ক্লাবের রান্নাঘরের দিকে চলে যান। অনুমান, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকেই ভয়াবহ আগুন লাগুন। বিকট শব্দে সিলিন্ডার ফেটে যাওয়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই গোটা ক্লাবে দাবানলের মতো আগুন ছড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে, বিস্ফোরণের তীব্রতার কারণে হোটেল কর্মীরা পালিয়ে বাঁচার খুব কম সময় পেয়েছিলেন।
advertisement
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরপোরা নাইটক্লাব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং এটিকে “অত্যন্ত মর্মান্তিক” ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, মৃতদের প্রতি পরিবারকে পিএমএনআরএফ থেকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে।
