গারাসিয়া গোষ্ঠীর মেয়েদের স্বাধীনতা রয়েছে নিজের জীবনসঙ্গি বাছাই করার। এরজন্য প্রতিবছর আয়োজিত হয় ২দিন ব্যাপী একটি মেলা। এই মেলাতেই অনেকটা সয়ম্ভর সভা বসে, সেখানেই পছন্দমত ছেলে খুঁজে নেয় মেয়েটি, তারপর তার সঙ্গে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। নতুন কোনও ঠিকানায় শুরু করে সহবাস করা। ছেলে ও মেয়ে, উভয়ের পরিবারই তাদের বিয়ের জন্য চাপ দেয় না। উপরন্তু ছেলের পরিবার মেয়ের পরিবারকে টাকা দেয়। এই সহবাসের সম্পর্ক থেকে তাদের সন্তানও জন্ম নেয়, এবং তারপরই তারা ঠিক করে বিয়ে করবে কী করবে না।
advertisement
সবটেকে বড় চমকের বিষয়, একই সঙ্গীর সঙ্গে সারাজীবন কাটানোর কোনও চাপ সৃষ্টি করা হয় না মেয়েটির উপর। মেয়েটি যকন চাইবে, বর্তমান সঙ্গীকে ছেড়ে অন্য কারও সদঙ্গে ঘর বাঁধতে পারে। তবে, এক্ষেত্রে নতুন সঙ্গীকে মেয়েটির পরিবারকে পুরনো সঙ্গীর থেকে বেশি টাকা দিতে হবে।
গারাসিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে এই প্রথার প্রচলন হল কীভাবে? জানা যায়, বহুযুগ আগে, এই গোষ্ঠীর ৪ ভাইয়ের মধ্যে তিন ভাইয়ের বিয়ে হয়ে যায়। ১ ভাই একটি মেয়ের সঙ্গে সহবাস করা শুরু করে। এদিকে বিবাহিত ৩ ভাইয়ের কোনও সন্তান হয় না, কিন্তু চতুর্থ ভাই, যে সহবাস করছিল, তার একটি সন্তান হয়। তবে থেকেই এই গোষ্ঠী মনে করে, বিয়ে না করে সহবস করাতেই মঙ্গল।