কী ঘটেছে? পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহত যুবকের নাম পুরেলা সাই কুমার গৌড় (২০)। তিনি এলিগেদু মণ্ডলের মুপিরিতোটা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে জন্মদিনের পার্টিতে প্রেমিকাকে আমন্ত্রণ জানালে তার বাবা মুত্যাম সদাইয়া সেখানে উপস্থিত হন এবং আচমকাই কুমারকে কুঠার দিয়ে আঘাত করেন। গলায় তিনটি গভীর ক্ষত হয়, পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কুমারকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
advertisement
পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, হত্যাকারী সদাইয়া মূলত পরিবারের সদস্যদের প্ররোচনায় এমন চরম পদক্ষেপ নেন। তিনি বলেন, “ছেলে ও মেয়েটি একই গ্রামে বসবাস করতেন এবং তারা গত দুই বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন। হঠাৎ এই নৃশংস হত্যার কারণ কী, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত আগেও কয়েকবার নিহত কুমারকে সম্পর্ক থেকে সরে আসার জন্য সতর্ক করেছিলেন। কুমারের পরিবারও জানত যে তাদের ছেলে এই সম্পর্কের কারণে ঝুঁকির মধ্যে ছিল। পরিবারের অভিযোগ, সম্পর্ক মেনে নিতে না পারার কারণেই মেয়েটির বাবা তাকে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: মাত্র ২০ মিনিটে দুটি মদের দোকান সাফ! দামি ক্রেটায় ২.৫৩ লাখ টাকা লুট দুষ্কৃতীদের…
এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে, পুলিশ এটিকে “অনার কিলিং” (সম্মান রক্ষার্থে হত্যা) বলতে নারাজ। তদন্তে যুক্ত এক কর্মকর্তা বলেন, “এটি নিছকই সম্পর্কজনিত কারণে ক্ষোভ থেকে ঘটানো হত্যাকাণ্ড। অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুব্ধ ছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত হঠাৎ রাগের বশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।”
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং এই মামলায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত মুত্যাম সদাইয়াকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।