২০০৯ এ আলিপুর চিড়িয়াখানায় জন্ম জয়-এর। জন্মের পর থেকেই দ্রুত দর্শকদের মন জয় করে নেয় ছোট্ট ‘জয়’। । সম্প্রতি ওড়িশার নন্দনকানন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিনিময় প্রথায় ৩টি বাঘ পায় আলিপুর চিড়িয়াখানা। বিনিময়ে জয়কে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেইমতো ২৪ ফেব্রুয়ারি জয়কে ট্রেলারে করে নিয়ে যাওয়া হয় ওড়িশার নন্দনকাননে। ২৫ তারিখ নন্দনকাননে পৌঁছয় ‘জয়’। ২৯ তারিখ দুপুরে নন্দনকাননেই মৃত্যু হয় জয়ের। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। তবে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নিজেদের দায় এড়িয়েছে। তাঁদের দাবি, ব্যবস্থাপনার কোনও অভাব ছিল না। ছিল পর্যাপ্ত খাবার ও ওষুধও।
advertisement
তবে কেন এত অল্প সময়ের মধ্যে মৃত্যু হল জয়ের? অভিযোগ, এসব দূরের যাত্রাপথে পশুদের জন্য দরকার সঠিক ব্যবস্থা। যাত্রাপথে থাকা প্রয়োজন পশু চিকিৎসক এবং তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মীরও। অভিযোগ, জয়কে নিয়ে যাওয়ার সময় আলিপুর পশু হাসপাতালের কোনও চিকিৎসক ছিলেন না, যেটা এই ধরণের দূরযাত্রায় জরুরি। অভিযোগ উঠছে, নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন আলিপির চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল, তেমনি নন্দনকাননের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও সঠিক পরিবেশেরও হয়তো অভাব ছিল। জয়ের দেহের ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ।