TRENDING:

ঘোড়ামেলার বিশেষ আকর্ষণ নৌকায় খিচুড়ি রান্না

Last Updated:

ভোরবেলা লাল-সাদা পোশাকে সেজে নববর্ষের প্রভাতফেরী ৷ ঢাকার রমনার বটমূল থেকে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা ৷ এরপর ইলিশ-পান্তা দিয়ে ভুরিভোজ ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: ভোরবেলা লাল-সাদা পোশাকে সেজে নববর্ষের প্রভাতফেরী ৷ ঢাকার রমনার বটমূল থেকে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা ৷ এরপর ইলিশ-পান্তা দিয়ে ভুরিভোজ ৷ ওপার বাংলার ছবিটা খানিকটা এমনই ৷ আর এ পার বাংলায় আবার অন্য ছবি ৷ সকাল সকাল স্নানব সেরে সিদ্ধিদাতা গণেশ আর ধনদেবী লক্ষ্মীর পুজো ৷ দুপুরে পঞ্চব্যঞ্জন সহকারে উদরপূর্তি ৷ আবার টেলিভিশনের পর্দায় বিভিন্ন শিল্পীদের বৈঠকী আড্ডা ছাড়া বাংলা বছরের প্রথম দিনটা বড্ড বেশি বেমানান ৷ এ তো গেল পয়লা বৈশাখের চেনা ছবি ৷ প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে নববর্ষের বিভিন্ন ছবি দেখা যায় ৷ যেগুলি চেনা ছবির থেকে এক্কেবারে আলাদা ৷
advertisement

আজ জেনে নেওয়া যাক এমনই পয়লা বৈশাখ নিয়ে এমন কিছু ভিন্ন গল্প ৷ বাংলাদেশের সোনারগাঁওয়ের ‘বউমেলা’ নিয়ে নানা কথা তো প্রায় অনেকেরই জানা ৷ এই সোনরগাঁ থানার পেরাব গ্রামের পাশে আরও একটি মেলার আয়োজন করা হয় ৷ যার নাম ঘোড়ামেলা। সেই মেলা নিয়ে কতই না কথা চলে লোকমুখে ৷ শোনা যায়, যামিনী সাধক নামের এক ব্যক্তি ঘোড়ায় করে এসে নববর্ষের এই দিনে সবাইকে প্রসাদ দিতেন এবং তিনি মারা যাওয়ার পর ওই স্থানেই তাঁর স্মৃতিস্তম্ভ বানানো হয়।

advertisement

আরও পড়ুন: স্বামী-সোহাগী হতে বৈশাখের দ্বিতীয় দিন বউমেলায় মেতে ওঠে সোনারগাঁও

প্রতিবছর পয়লা বৈশাখে স্মৃতিস্তম্ভে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা একটি করে মাটির ঘোড়া রাখে এবং এখানে মেলার আয়োজন করা হয়। এ কারণে লোকমুখে প্রচলিত মেলাটির নাম ‘ঘোড়ামেলা’। এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে নৌকায় খিচুড়ি রান্না করে রাখা হয় এবং আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই কলাপাতায় আনন্দের সঙ্গে তা ভোজন করে। সকাল থেকেই এ স্থানে লোকজনের আগমন ঘটতে থাকে। শিশু-কিশোররা সকাল থেকেই উদগ্রীব হয়ে থাকে মেলায় আসার জন্য। এক দিনের এ মেলাটি জমে ওঠে দুপুরের পর থেকে। হাজারো লোকের সমাগম ঘটে। যদিও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কারণে এ মেলার আয়োজন করা হয়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

তথাপি সব ধর্মের লোকজনেরই প্রাধান্য থাকে এ মেলায়। এ মেলায় শিশু-কিশোরদের ভিড় বেশি থাকে। মেলায় নাগরদোলা, পুতুল নাচ ও সার্কাসের আয়োজন করা হয়। নানারকম আনন্দ-উৎসব করে পশ্চিমের আকাশ যখন রক্তিম আলোয় সজ্জিত উৎসবে, যখন লোকজন অনেকটাই ক্লান্ত, তখনই এ মেলার ক্লান্তি দূর করার জন্য নতুন মাত্রায় যোগ হয় কীর্তন। এ কীর্তন হয় মধ্যরাত পর্যন্ত। এভাবেই শেষ হয় বৈশাখের এই ঐতিহ্যবাহী মেলা ৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
ঘোড়ামেলার বিশেষ আকর্ষণ নৌকায় খিচুড়ি রান্না