তদন্তরত পুলিশ আধিকারিকদের ধারণা, ওই প্রতিবেশীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আছে মৃতের স্ত্রী সবিতার৷ চার বছর আগে অভিযুক্ত সবিতা তাঁর স্বামী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন, এই মর্মে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন৷ তার পর তিনি সব দোষ মৃতের ভাইয়ের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করে গিয়েছেন বলে পুলিশের দাবি৷
প্রায় তামাদি হতে বসা এই হত্যাকাণ্ডে নতুন কিছু সূত্র পুলিশের হাতে আসে আচমকাই৷ তার পরই নতুন করে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ পুলিশের দাবি, অভিয়ুক্ত সবিতা এবং তাঁর প্রেমিক অরুণ মিলে খুন করেন চন্দ্র বীরকে৷ তার পর অরুণেরই বাড়িতে ৬ থেকে ৭ ফুট গর্ত করে নিথর দেহ পুঁতে দেওয়া হয়৷ সেখান থেকে কঙ্কালে পরিণত হওয়া দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷
advertisement
আরও পড়ুন : মিজোরামে পাথর খাদানে ধস, চাপা পড়ে অন্তত ১৫ শ্রমিক, চলছে উদ্ধারকাজ
ঘটনায় নৃশংসতা ও নির্মমতার মাত্রা এতটাই যে অরুণের দেহ পুঁতে ফেলার পর সেই জায়গাটি সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়ে ওই বাড়িতেই বসবাস করেন৷ অভিযোগ, খুনের পরিকল্পনা করার পর গর্ত খোঁড়া হয়৷ যাতে গন্ধ ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য গভীর গর্ত খোঁড়া হয়েছিল৷ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র পিস্তল ও কুঠারও উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷
আরও পড়ুন : গায়ে হলুদ, মেহেন্দির পর ‘সাতপাকে বাঁধা’ দুই পোষ্য সারমেয়, জমিয়ে ভোজ খেলেন বরযাত্রী-সহ ১০০ অতিথি
প্রসঙ্গত দিল্লিতে এক আর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই সামনে এলে গাজিয়াবাদে ঘটে যাওয়া এই পুরনো অপরাধও৷ দিল্লির হত্যাকাণ্ডে লিভ ইন পার্টনারের হাতে তরুণীর নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ পুলিশের দাবি, ৬ মাস আগে তরুণীকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫ টি টুকরোতে কেটে দিল্লির নানা অংশে ১৮ দিন ধরে ছড়িয়ে দেয় অভিযুক্ত যুবক৷ অন্যদিকে গাজিয়াবাদের কুশল পার্ক এলাকায় শনিবার ভোরে বিহারের সীতামারি অঞ্চলের এক বাসিন্দার গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে৷