ভারতের এমন অনেক রানির গল্পই আমরা শুনেছি। তাঁদের সৌন্দর্য, বীরত্বের গাঁথাও কম নয়। এমনই একজন রানি গায়ত্রী দেবী। বিশ্বের সেরা ১০জন সুন্দরী একজন। জয়পুর রাজপরিবারের রানি ছিলেন কোচবিহারের কন্যা গায়ত্রী দেবী। তাঁর অনুপম সৌন্দর্যের দিকে তাকিয়ে থাকতেন সকলে। রাস্তায় জড়ো হয়ে যেত লক্ষ লক্ষ মানুষ। রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন গায়ত্রী দেবী। সেই শিক্ষাই বুঝি তাঁর সৌন্দর্য দীপ্তিতে দিয়েছিল এক কোমল ঔজ্জ্বল্য।
advertisement
আরও পড়ুন: জেরায় কখনও স্মিত, কখনও উচ্চকিত হাসি হাসছেন জ্যোতিপ্রিয়, নতুন কৌশলে মাথায় হাত ইডি-র
মহারানি গায়ত্রী দেবী শৈশব থেকেই খুব সুন্দরী ছিলেন। তাঁর গাত্রবর্ণের উজ্জ্বল আভা যেন আজও অমলিন। জয়পুরের মহারাজা দ্বিতীয় সওয়াই মান সিংহের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় মাত্র ১৬ বছর বয়সে। তাঁর সৌন্দর্য, তাঁর বিভঙ্গ সারা বিশ্বের মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। গায়ত্রী দেবী জয়পুরের মহারাজা দ্বিতীয় সওয়াই মান সিংহের তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন। তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারীদের একজন বলে আজও গণ্য করা হয়।
আরও পড়ুন: খুব ইচ্ছে ছিল পার্থর, বাধ সাধেন জ্যোতিপ্রিয়! গ্রেফতার দুই নেতার ‘লড়াইয়ে’ নেত্রী হওয়া হল না অর্পিতার
মহারানি গায়ত্রী দেবীর জন্ম ১৯১৯ সালের ২৩ মে, লন্ডনে। তাঁর বাবা প্রিন্স জিতেন্দ্র ছিলেন তৎকালীন বাংলার কোচবিহার রাজ্যের যুবরাজের ছোট ভাই এবং তাঁর মা প্রিন্সেস ইন্দিরা রাজে ছিলেন বরোদার মহারাজা সায়াজিরাওয়ের কন্যা। গায়ত্রী দেবীর জীবনধারা খুব বিলাসবহুল ছিল বলে জানা যায়। অত্যন্ত মূল্যবান ফ্রেঞ্চ পারফিউম এবং শিফন শাড়ি ছিল তাঁর খুব প্রিয়।
তবে শুধু বিলাস আর সৌন্দর্যই নয়। মহারানি গায়ত্রী দেবী তাঁর রাজ্য এবং রাজনৈতিক কর্মজীবন খুব ভাল ভাবে পরিচালনা করেছিলেন। ১৯৬২ সালে তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন স্বতন্ত্র পার্টির হয়ে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করেন। এই বিপুল জয়ের কারণে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তাঁর নাম ওঠে। যদিও তার আগেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী তাঁকে কংগ্রেসে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। গায়ত্রী দেবী তা প্রত্যাখ্যান করেন। সারা দেশে জরুরি অবস্থা চলাকালে গায়ত্রী দেবী ছয় মাস কারাগারে ছিলেন।