শুক্রবার সকালে কানপুরের বাররা থানা এলাকায় স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গাড়িতে করে বিকাশ’কে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে আসার সময় তাকে গুলি করে মারা হয় । পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পালানোর চেষ্টা করছিল বিকাশ । পিস্তল ছিনিয়ে নিয়েছিল সে । আত্মরক্ষার স্বার্থেই তাকে গুলি করা হয়েছে ।
কিন্তু প্রথম থেকেই পুলিশের এই যুক্তির বিরোধিতা শুরু করেছে বিরোধীরা । তাঁদের বক্তব্য, বিকাশকে বাঁচিয়ে রাখলে অনেক বড় বড় মাথারাই মুখোশহীন হয়ে পড়তেন । সেক্ষেত্রে রাজ্যের বড় বড় আমলা, মন্ত্রী, পুলিশকর্তাদেরও জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল । সে কারণেই এনকাউন্টারের গল্প ফাঁদা হয়েছে । আসলে বিকাশ’কে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আগেই সেরে ফেলেছিল পুলিশ ।
advertisement
প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘‘অপরাধী শেষ হয়ে গেল। অপরাধ ও তার মদতদাতা যাঁরা তাদের কী হবে?’’ প্রিয়াঙ্কা পূর্ব উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ।
অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদবও কড়া সুরে বিঁধেছেন যোগী সরকারকে । তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘‘আসলে গাড়িটা উল্টে যায়নি । গোপন তথ্যগুলো সামনে এলে সরকারের উল্টে যাওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে ।’’
কংগ্রেস নেতা কার্তি পি চিদাম্বরম লিখেছেন, ‘‘ওহ... এটাই আন্দাজ ছিল । এখন সব কিছু মিটে গিয়েছে । সমস্ত অজানা সত্যগুলো মাটি চাপা পড়ে গিয়েছে ।’’
শিব সেনার ডেপুটি চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী লেখেন, ‘‘না রহেগা বাঁশ, না বাজেগি বাঁশুরি ।’’
কংগ্রেসের আর এক শীর্ষ নেতা দিগ্বিজয় সিং ট্যুইটে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘যেটা নিয়ে আশঙ্কা ছিল, সেটাই হল। বিকাশ দুবের সঙ্গে কোন কোন রাজনীতিক এবং পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, তা আর জানা যাবে না। গত ২-৩ দিনে বিকাশ দুবের দুই সঙ্গীকেও এনকাউন্টারে খতম করা হয়েছে। কিন্তু তিন এনকাউন্টারের প্যাটার্নই একই ধরনের কী ভাবে হল?’’
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া পুলিশের একটি ভিডিও ক্লিপিং পাওয়া গিয়েছে ।ভাইরাল হওয়া ওই ক্লিপিং-এ শোনা যাচ্ছে নিজেদের মধ্যে কথা বলছেন কয়েকজন পুলিশকর্তা । একজন অপরজনকে বলছেন, ‘‘বিকাশ দুবে কি কানপুর পর্যন্ত পৌঁছবে ?’’ অন্যজন তাঁকে হেসে বলছেন, ‘বিকাশ কানপুরে পৌঁছবে না ।’’ এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে কাদের আড়াল করার জন্য মরতে হল বিকাশকে ? তা হলে কি বিরোধীদের সন্দেহই ঠিক ?
তবে এই ভিডিও-র সত্যতা আমরা যাচাই করিনি ।