TRENDING:

অর্থনীতিশাস্ত্রের 'ম্যাজিশিয়ান' অশোক গেহলট, যাকে প্রণাম করেন বিরোধীরাও

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আরও একবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন অশোক গেহলট । যোধপুরের সর্দারপুরা আসন থেকে চারবারের বিধায়ক হওয়ার স্বীকৃতিও রয়েছে তাঁর নামে । রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উঠে এসেছিল গেহলটের নাম। প্রদেশ কংগ্রেস অধ্যক্ষ সচিন পাইলটের চেয়ে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন বেশিরভাগ বিধায়ক ।
advertisement

গত এক বছর ধরেও রাজনৈতিক খ্যাতির শীর্ষে ছিলেন গেহলট। গুজরাত কংগ্রেসের দায়িত্বও তাঁকে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির গড় গুজরাতে দুদশক ধরেই কংগ্রেসের অস্তিত্ব রীতিমত টালমাটাল। আগের নির্বাচনে গুজরাতে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি । কংগ্রেস হারলেও একজন সুদক্ষ নেতা হিসেবে সংবাদ শিরোনামে ছিলেন গেহলট । এরপর জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের অন্যতম মুখগুলির মধ্যে একজন হয়ে ওঠেন গেহলট। কেন্দ্রীয় শাসক দলের সরাসরি বিরোধীতা করতে কখনও পিছপা হননি গেহলট।

advertisement

১৯৭৩-১৯৭৯ রাজস্থানের ছাত্র সংগঠন ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন গেহলট। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত যোধপুর জেলার কংগ্রেস কমিটির সভাপতিত্বও করেছেন তিনি। ১৯৭৭ সালে, মাত্র ২৬ বছর বয়সে সর্দারপুরা থেকে নির্বাচনে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। জাতীয় রাজনীতিতে তখন একটাই নাম-সঞ্জয় গান্ধি ও তিনিই গেহলটকে নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছিলেন। নিজের বাইক বিক্রি করে নির্বাচন, প্রচার ও আনুসঙ্গিক খরচ চালিয়েছিলেন গেহলট। এক বন্ধুর সেলুন হয়ে উঠেছিল নির্বাচনের অফিস । যদিও প্রথম পরীক্ষায় পাশ করতে ব্যর্থ হন গেহলট, কিন্তু তাঁকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারেনি। ঠিক ৩ বছর পর ১৯৮০ সালে যোধপুর লোকসভা থেকে টিকিট পান তিনি ও সেই বছরই সাংসদ পদে বসেন তিনি। এরপর সম্পূর্ণ রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন তিনি।

advertisement

রাজস্থানে গুজ্জর আন্দোলনের নেতা কিরোদি সিং বান্সলার কথায়,' গেহলট একজন অত্যন্ত সচেতন নেতা' । তাঁকে এককাপ দুধ দিলে পাশে বসা বিড়ালকে না দিয়ে তিনি সেই দুধ খাবেন না, মন্তব্য বান্সলার ।

২০০৮ বিধানসভা নির্বাচনে ২০০টির মধ্যে ৯৬টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস । এমতাবস্থায় বিএসপির ৬জন বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন, যার কৃতীত্ব দেওয়া হয় গেহলটকেই। যদিও, মায়াবতীর সম্মতি ছাড়াই এই বিষয়টি ঘটেছিল। এরপর পাঁচ বছর সাফল্যের সঙ্গে সরকার পরিচালনা করেছিল কংগ্রেস ও 'গেহলট ম্যাজিকের' সঙ্গে পরিচিতি ঘটেই গিয়েছে রাজনৈতিক মহলের । শেষপর্যন্ত সেই ৬ বিধায়ককে বিএসপি বহিষ্কার করলেও গেহলট ম্যাজিকে আঁচ লাগেনি একটুও।

advertisement

১৯৯৮ থেকে ২০০৮ কংগ্রেস যখন জয়লাভ করেছিল, কমলা বেনিওয়াল, পরশুরাম মাদের্না, শীশরাম ওলা, ডঃ চন্দ্রবদন, নারায়ন সিং- এর মত জাট নেতাদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিলেন গেহলটও। ২০০৮ সালে অভাবনীয় ভাবে এই পদের দায়িত্বভার পেয়েছিলেন গেহলটই ।

কংগ্রেসের তিনটি আলাদা কেন্দ্রীয় সরকারের আমলেও অশোক গেহলট কিন্তু এক কমন নাম । রাজীব গান্ধি, ইন্দিরা গান্ধি ও নরসিমহা রাও এর মন্ত্রীসভার সদস্যও ছিলেন গেহলট। এবার গান্ধি পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম তথা রাহুল গান্ধির সঙ্গেও একযোগে রাজনীতি প্রাঙ্গণে কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

Write Up: Shakti Shekhawat

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
অর্থনীতিশাস্ত্রের 'ম্যাজিশিয়ান' অশোক গেহলট, যাকে প্রণাম করেন বিরোধীরাও