প্ররোচনা অনেক ছিল। কিন্তু সেদিকে খুব একটা পা বাড়াননি। শাহিনবাগ বিতর্কে বিজেপির পাতা ট্র্যাপে পা দিতে গিয়েও ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে সামলে নেন নিজেকে ৷ প্রচারের শুরু থেকেই গত পাঁচ বছরের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর সরকারের আমলে দিল্লিবাসী কী কী পেয়েছেন, তা মানুষের মনে গেঁথে দিতে চেয়েছেন বার বার। ভোটারদের বোঝাতে চেয়েছেন, হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদে আম আদমির উন্নতি হবে না। দেশের-দশের উন্নতিতে চাই স্কুল-কলেজ-হাসপাতাল। মেরুকরণের বদলে চাই রোটি-কপড়া-মকান। এই কেজরি মডেলেই কেল্লাফতে দিল্লিতে।
advertisement
CAA-শাহিনবাগ নয়। ভোটপ্রচারে ফ্রিতে জল-বিদ্যুৎ-মহল্লা ক্লিনিকের মতো ইস্যুগুলিকেই পাখি পড়ার মতো বলে গিয়েছে আরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আপ। স্লোগান তুলেছে ‘মেরা ভোট কাম কো, সিধে কেজরিওয়াল কো’। প্রচারে আপের অস্ত্র ছিল,
- ৪৫০’র বেশি মহল্লা ক্লিনিক
- অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনায় আহত এবং অ্যাসিড আক্রান্তদের বিনা খরচে চিকিৎসা
- ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ফ্রি
- মাসে ২০ হাজার লিটার পর্যন্ত জল ফ্রি
- মহিলাদের বাসে ফ্রি যাতায়াত
- দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, মোদির গুজরাত মডেলে ভর করেই সবরমতীর তীরে বারে বারে পদ্ম ফুটেছে। দিল্লির যমুনা তীরে এবার আরেক মডেল। কেজরি মডেল ৷