এই সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ৫ ডিসেম্বর থেকে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত যে কজন টিকিট কেটেছেন তাদের টিকিটের মূল্য ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ইন্ডিগো বিমান কর্তৃপক্ষ লেখেন, “আমরা এই গোটা বিষয়টির জন্য গভীরভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা বুঝতে পারছি আপনাদের কতটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে।”
advertisement
এছাড়াও , ইন্ডিগো বিমান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে সকল যাত্রীদের বিমান বাতিল করা হয়েছে তাঁরা যেন বিমানবন্দরে উপস্থিত না হন। কারণ দেশের বহু বিমানবন্দরে প্রচুর মানুষের ভিড় হচ্ছে। যাত্রীদের মধ্যে দুশ্চিন্তা, সংশয়, এবং উদ্বেগ বাড়ছে।
এরই মাঝে দেশের রাজধানী দিল্লি থেকে ইন্ডিগোর সমস্ত বিমান পরিষেবা শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করল দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ভারতীয় বিমান ইতিহাসের মধ্যে সবথেকে বড় ‘অপরেশনাল বিপর্যয়ের’ মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ইন্ডিগো।
গত চারদিন ধরে ইন্ডিগোর একাধিক বিমান বাতিলের জেরে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন বহু যাত্রীরা। মোট ৭০০টি ফ্লাইট শুক্রবার বাতিল হওয়াতে ২০ বছরের মধ্যে সবথেকে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে এই বিমান সংস্থাটি।
মূলত, মুম্বই, হায়দরাবাদ,পুনে, এবং চেন্নাই-সহ একাধিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের লম্বা লাইন দেখা যায়।
ইন্ডিগো ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে স্বীকার করেছে যে তাদের লোকবল কম থাকায় এই ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে তাঁরা। এই বিষয়ে ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্ট জানিয়েছেন বিমানসংস্থার পুনরায় সঠিক অবস্থায় ফিরতে আপাতত বেশ কিছুটা সময় লাগবে।
অন্যদিকে বিমান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ডিজিসিএ জানিয়েছে, ইন্ডিগোর এই প্রবল বিপর্যয়ের মাঝে বিমান চালকদের প্রতি সপ্তাহে একদিনের ছুটি বাতিল করার সাময়িক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে এক বিমানকর্মী জানান, আগে বিমানচালকদের ৪৮ ঘণ্টার ডিউটির পরে বিশ্রাম দেওয়া হত। বিমানমন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী তা প্রতিটি বিমান সংস্থার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বিমানচালকদের ক্ষেত্রে ছুটি বাধ্যতামূলক না হলেও বিশ্রাম বাধ্যতামূলক থাকার কথা। কিন্তু, অভিযোগ, ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে চালকদের বিশ্রাম দিত না বলেই অভিযোগ আর জেরেই সমস্যা আরও তীব্রতর হয়েছে। আপাতত প্রতিটি বিমানসংস্থাকেই নিজেদের কর্মীদের জন্য নতুন রোস্টার বানিয়ে এই বিপর্যয় থেকে উদ্ধারের পথ খুঁজতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নভেম্বরের শেষের দিক থেকে তাদের নেটওয়ার্ক জুড়ে বাধাবিঘ্ন বৃদ্ধি পেয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল অধিদফতর (DGCA) কর্তৃক আয়োজিত একটি পর্যালোচনার সময় বিমান সংস্থা এই কারণগুলি তুলে ধরেছে। বিমান সংস্থাটি প্রতিদিন ১৭০-২০০টি ফ্লাইট বাতিল করছে, যা স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে হাজারটিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক (MoCA) এবং ইন্ডিগোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন এবং পরিস্থিতির উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।ডিজিসিএ-কে বিমান ভাড়ার উপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে বড় ধরনের বিঘ্নের ফলে অযৌক্তিকভাবে ভাড়া বৃদ্ধি না হয়। মধ্যরাত থেকে সকাল ৬টার মধ্যে অবতরণের সংখ্যা সীমিত করেছে, ইতিমধ্যেই এক বছর বিলম্বিত করা হয়েছে যাতে বিমান সংস্থাগুলিকে তালিকা পুনর্নির্মাণের জন্য সময় দেওয়া হয়।ক্যারিয়ারের আরও তদবির সত্ত্বেও ডিজিসিএ আদালতের আদেশের কথা উল্লেখ করে সীমিত শিথিলতার সঙ্গে নিয়মগুলি প্রয়োগ করেছে।
