১. যদি অসুখ সারতেই না চায়?
একেকজনের ক্ষেত্রে নিরাময়ের সময়টা একেক রকমের হয়। এক্ষেত্রে ভয় না পেয়ে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে হবে, তিনিই চিকিৎসা কী ভাবে চলবে তা ঠিক করে দেবেন।
২. হোম কোয়ারান্টিন কখন ভাঙা যাবে?
এই ব্যাপারেও ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সাধারণত তিন দিন একটানা গায়ে জ্বর না থাকলে এবং উপসর্গ দেখা দেওয়ার ১৭ দিনের মাথায় কোয়ারান্টিন ভাঙা যায়। তবে শারীরিক কোনও জটিলতা থাকলে ডাক্তার কিন্তু আইসোলেশনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেবেন।
advertisement
৩. অফিসের কাজে কখন আবার যোগ দেওয়া যাবে?
উপসর্গ দেখা দেওয়ার ১৭ দিন পরে আবার অফিসে যাওয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে শরীরে পুরোপুরি জোর ফিরে আসার ব্যাপারটাও আছে। ক্লান্তি থাকলে ১৭ দিনের বেশিই বিশ্রামে থাকতে হবে।
৪. আইসোলেশন পিরিয়ডের পরে টেস্ট না করালে কি হতে পারে?
ডাক্তার সব দিক পরীক্ষা করে কাউকে যদি আইসোলেশন থেকে বেরিয়ে আসার অনুমতি দেন, তার মানে তিনি আর সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য দায়ী নন- এক্ষেত্রে টেস্ট না করালেও কোনও অসুবিধা নেই।
৫. কোভিড ১৯-এ একবার সংক্রমিত হলে ফের সংক্রমণের সম্ভাবনা কতটুকু থাকে?
এই ব্যাপারটি নির্ভর করে ব্যক্তিবিশেষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার পরিমাণের উপরে। এক্ষেত্রে কেউ ফের সংক্রমিত হন না, কেউ হতেও পারেন। অর্থাৎ সম্ভাবনা একেবারে বাদ দেওয়া যায় না।
৬. উপসর্গহীন রোগীর থেকেও কি সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে?
খুব বেশি মাত্রাতেই থাকে। কেন না, তাঁর উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না কিন্তু তিনি রোগের ভাইরাস বহন তো করছেন! ফলে উপসর্গহীন রোগীদেরও হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে।
৭. কোভিড রোগীর কাছে না গেলেও কি সংক্রমণ হতে পারে?
হ্যাঁ, পারে! কেন না, ভাইরাস বহন করে হাঁচি-কাশির অতি ক্ষুদ্র কণা বা ড্রপলেট, তা বাতাসে ভেসে বেড়ায়। ফলে কোভিড রোগীর কাছে না গেলেও তাঁর থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে প্রতিরোধের একমাত্র বর্ম হল ফেস মাস্ক ব্যবহার।
৮. কোয়ারান্টিনে এসি চালানো যাবে?
ক. টেম্পারেচার রাখতে হবে ২৪ থেকে ৩০০C-র মধ্যে।
খ. হিউমিডিটি লেভেল ৪০ থেকে ৭০ শতাংশের মধ্যে থাকা উচিত।
গ. নিয়ম মেনে এসি চালালেও ঘরে মুক্ত বাতাস আসতে দেওয়া উচিত, বদ্ধ ঘরে জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি।
ঘ. সেন্ট্রালাইজড এসি পরিবারের অন্যদের সুরক্ষার কথা ভেবে ব্যবহার করা যাবে না।
৯. রুম কুলার কি ব্যবহার করা যায়?
ক. হ্যাঁ, যায়, বিশেষ করে ইভাপোরেটিভ কুলার, তা বাইরের বাতাস টেনে নিয়ে ঘরের ভিতরটা তরতাজা রাখে।
খ. ইভাপোরেটিভ কুলারের ট্যাঙ্ক নিয়মিত ডিজইনফেক্ট করতে হবে, জল ফেলে দিতে হবে।
গ. ভ্যাপসা হাওয়া বেরিয়ে যাওয়ার জন্য জানলা খোলা রাখতে হবে।
ঘ. পোর্টেবল ইবাপোরেটিভ কুলার ব্যবহার করা যাবে না। কেন না, এরা বাইরের বাতাস টানতে পারে না। ফলে ঘরে বদ্ধ বাতাস জমতে থাকবে, তাতে জীবাণুও ঘরের বাইরে যাবে না।
