শহরের এক ২২ বছর বয়সী বি.টেক গ্র্যাজুয়েট নিজের বাবার দেওয়া ৩৫ লাখ টাকা জুয়া খেলে ও প্রেমিকার পেছনে খরচ করে ফেলল। যখন বুঝতে পারল যে তার বাবা সত্যিটা জেনে যাবে, তখন সে নিজের বাড়িতেই আগুন লাগিয়ে দিল। কিন্তু তার চালাকি ধোপে টেকেনি, কারণ সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায় এবং পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
advertisement
অভিযুক্ত রণজিৎ বিবেক-এর বাবা জগন্নাথ বেঙ্গালুরু ইস্ট তালুকের বিদরহল্লি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। তিনি ছেলের বিদেশে পড়াশোনার জন্য ১.১০ কোটি টাকা জোগাড় করেছিলেন। কিন্তু রণজিৎ সেই টাকা সঠিক কাজে না লাগিয়ে ৩৫ লাখ টাকা জুয়া খেলে ও প্রেমিকার উপহার কেনার পেছনে খরচ করে ফেলে। টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার পর যখন বুঝতে পারল যে বাবা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন, তখন সে এক ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করে।
রণজিৎ বাড়িতে আগুন লাগানোর আগে বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে দেয়। তারপর ৬টি ক্যান ভর্তি করে ২০ লিটার পেট্রোল কেনে এবং তার মধ্যে ৪ ক্যান ব্যবহার করে পুরো বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তখন বাড়িতে তার বাবা-মা ও দুই ভাই-বোন উপস্থিত ছিলেন, তবে তারা কোনোভাবে জীবিত বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে সম্পূর্ণ বাড়ির আসবাবপত্র ভস্মীভূত হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক ঘটনা, আইটি পার্কের মিনিবাসে ভয়াবহ আগুন! লেলিহান শিখায় ঝলসে গেল ৪ জন, গুরুতর আহত ১০ জন
আগুন লাগার পর প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল যে এটি বাইরের কোনও ব্যক্তির কাজ। কিন্তু যখন পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে, তখন রণজিতের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুরো সত্য স্বীকার করে নেয়। সে স্বীকার করে যে বাবার প্রশ্ন থেকে বাঁচার জন্যই সে নিজেই বাড়িতে আগুন লাগিয়েছিল।
রণজিতের বিরুদ্ধে এখন খুনের চেষ্টার (Attempt to Murder) মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আদালতে পেশ করা হবে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় গোটা এলাকা হতবাক হয়ে গেছে।