জঙ্গি হামলার জেরে পঞ্জাবজুড়ে জারি হাই অ্যালার্ট ৷ প্রাথমিক অনুমান, তিন-চার দিন আগে ভারতে অনুপ্রবেশ কিছু জঙ্গিরা ৷ পাঠানকোট-জম্মু হাইওয়ে থেকে দু’দিন আগে গুরদাসপুর এসপির গাড়ি ছিনতাই করে জঙ্গিরা ৷ হামলার উদ্দেশ্যই ওই এসপিকে গাড়ি-সহ অপহরণ করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে ৷
এদিন ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে সেনার পোশাকে পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা পাঠানকোটের বিমানঘাঁটিতে ঢোকে ছয় জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি ৷ ছক কষে তিন দিক থেকে হামলা চালায় জঙ্গিরা ৷ শুরু হয় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই ৷ হামলার কথা বুঝতে পেরে এলাকা ঘিরে ফেলে সেনা ৷ ৬ ঘণ্টা ধরে চলে গুলির লড়াই ৷ মারা যায় একজন বায়ুসেনা অফিসার-সহ এক জওয়ান ৷ গুরুতর আহত আরও ৬ জন জওয়ান ৷ সেনাসূত্রে খবর, গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে চার জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গির ৷ বাকি জঙ্গিদের খোঁজে সেনাঘাঁটিতে এখনও চলছে চিরুণি তল্লাশি ৷ সেনা অপারেশনে নামানো হয়েছে দুই যহেলিকপ্টার ৷ পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার জেরে নিরাপত্তাজনিত কারণে আপাতত বন্ধ করা হয়েছে জম্মু-হিমাচল হাইওয়ে ৷
advertisement
সূত্রের খবর, জঙ্গি হামলার আশঙ্কা ছিল আগে থেকেই ৷ তাই ওই এলাকায় মোতায়েন ছিল দুই কোম্পানি সেনা ৷ বিশেষ বাহিনী ও এনএসজি জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছিল নিরাপত্তায় ৷