TRENDING:

এক বর্ণময় ও দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ইতি, প্রয়াত অরুণ জেটলি

Last Updated:

তাঁর প্রয়াণে দেশিয় রাজনীতিতে এক অপূর্ণীয় ক্ষতি হয়েছে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অরুণ জেটলি ৷ দিল্লি AIIMS-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ৷ প্রয়াণের সময়ে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর ৷ গত ৯ অগাস্ট স্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি ৷ কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হিসাবে একাধিক দায়িত্ব সামলেছেন তিনি ৷
advertisement

কখনও, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তো কখনও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচার-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক সামলেছেন তিনি ৷ এমনকী মোদি প্রথম মন্ত্রীসভার অর্থ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও সামলে ছিলেন তিনি ৷ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ক্রমশই তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল ৷ আজ দিল্লি AIIMS-সূত্রে জানানো হয়েছে বেলা ১২.০৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি ৷

advertisement

তিনি এক বিরলতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন সংসদে বিরোধীদের সঙ্গে যতই মত পার্থক্য থাকুক না কেন ৷ তিনি অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ ছিলেন সবার সঙ্গেই ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে বিরোধীদলের বহু নেতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত নিবিড় ৷ রাজনৈতিক মতাদর্শের উপরে উঠে এক আলাদা সৌজন্যের নজির সৃষ্টি করেছিলেন ৷

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করেছিলেন ৷ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই স্নাতকোত্তর পাশ করেছিলেন আইন সংক্রান্ত বিষয়ে ৷ অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাই শোকপ্রকাশ করেছেন ৷ ১৯৭৭ সালে অরুণ জেটলি এবিভিপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে মনোনীত হয়েছিলেন ৷

advertisement

১৯৮০ সাল পর্যন্ত সেই পদেই আসীন ছিলেন তিনি ৷ ১৯৮০ সালে দিল্লি বিজেপির সম্পাদক হয়েছিলেন তিনি ৷ ১৯৯১ সালে জাতীয় এক্সজিকিউটিভ হয়েছিলেন তিনি ৷ ১৯৯৯ সালে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র হয়েছিলেন তিনি ৷

১৯৯৯ সালেই তিনি তথ্য সম্প্রচারমন্ত্রী হয়েছিলেন, একই সঙ্গে আইনমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি ৷ ২০০০ সালে প্রথমবার গুজরাত থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন তিনি ৷ রাম জেটমালানি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সভায় আইনমন্ত্রক দেখার দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি ৷

advertisement

২০০৬ ও ২০১২ পরপর ২ বার গুজরাত থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি ৷ ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি বিরোধী দলনেতা ছিলেন ৷ মহিলা সংরক্ষণ বিলের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা ছিল অরুণ জেটলির ৷ আন্না হাজারের লোকপাল বিলের সমর্থন করেছিলেন তিনি ৷ ২০১৪ সালে প্রথম মোদি মন্ত্রীসভায় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে প্রতিরক্ষাও সামলে ছিলেন তিনি ৷ পরে প্রয়াত বিজেপি নেতা মনোহর পারিকরকে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি ৷

advertisement

শুধুই রাজনীতি নয় ক্রিকেটের সঙ্গেও জেটলির মধুর সম্পর্ক ছিল, দীর্ঘদিন ধরে দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি ছিলেন তিনি ৷ তিনিই বিজেপির প্রথম কর্পোরেট মুখ ৷ একদিকে মিষ্টভাষী, সুবক্তা, সুদর্শন, উচ্চশিক্ষিত-সহ বহু গুণের অধিকারী ছিলেন তিনি ৷

শুধুই বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা ছিলেন না তিনি একাধারে বর্ষীয়ান আইনজীবীও ছিলেন ৷ ১৯৭৭ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট ও অনেক হাইকোর্টে ওকালতি প্র্যাকটিস করেছিলেন ৷ ছত্তীসগড়, ছাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ডের হাইকোর্টের প্রতিষ্ঠা তাঁর অনুপ্রেরণাতেই হয়েছিল ৷

২০০২ সালে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি ১৮২ আসনের মধ্যে ১১৭ আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি ৷ অরুণ জেটলি, অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আদবানির সান্নিধ্যে রাজনৈতিক জীবন সমৃদ্ধ করেছিলেন তিনি ৷

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
গ্রামের মেয়ে রজনী বাউরি, বাঁকা কথা উড়িয়েছেন ড্রিবল করে,পায়ে বল স্বপ্ন দেশের হয়ে খেলার
আরও দেখুন

সব মিলিয়ে এক বর্ণময় অরুণ জেটলির প্রয়াণে জাতীয় রাজনীতিতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে ৷

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
এক বর্ণময় ও দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ইতি, প্রয়াত অরুণ জেটলি