রাজ্যের জঙ্গলমহলে এক সময় প্রচুর মানুষ মাওবাদীদের আক্রমণে মারা গিয়েছেন। রাজ্যে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তরফে চেষ্টা শুরু হয়েছিল প্রশাসনিক উদ্যোগে মাওবাদীদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার। ঘোষণা হয়েছিল একাধিক পুনর্বাসন প্রকল্পেরও। এর পর থেকে একাধিক মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন রাজ্যে। সরকারি প্রতিশ্রুতি মতো মিলেছে চাকরি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। পুনর্বাসন প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
advertisement
সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে 'খেলা হবে' প্রকল্পের সূচনার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি সহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে রাজ্যের একসময়ের মাও উপদ্রুত জেলার ২২০ জনকে স্পেশাল হোমগার্ড পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সূচনা করা হয়। এ দিন রাজ্যের ৪ জেলা পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামের মোট ২২০ জন প্রাক্তন মাওবাদীর হাতে জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের উপস্থিতিতে পুলিশের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়।
ঝাড়গ্রামে ৭৯ জন প্রাক্তন মাওবাদী, পুরুলিয়ায় ১৯ জন, বাঁকুড়ার ১১ জন এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ১১০ জন প্রাক্তন মাওবাদী চাকরি পেলেন পুলিশে। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম ও চার জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কলকাতার নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রীর মূল অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল ওই চার জেলাকেও।
আজ থেকেই তাঁদের ট্রেনিং শুরু হবে। ৪২ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এঁদের। প্রশিক্ষণ শেষ হলেই নির্দিষ্ট থানা এলাকায় কাজ শুরু করে দেবেন তাঁরা। এদিন যাঁরা পুলিশের চাকরি পেলেন তাঁরা অনেকেই বিগত দিনে সক্রিয় মাওবাদী ছিলেন। আবার অনেকেই লিঙ্কম্যানও হিসেবে মাওবাদীদের সাহায্য করতেন। প্রত্যেকেই রাজ্যের বেশকিছু বড়সড় মাওবাদী হামলার ঘটনার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। সরকারি নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে খুশি প্রত্যেকেই।
VENKATESWAR LAHIRI