নকশাল যোগের অভিযোগে এই মুহূর্তে জেলবন্দি রয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক৷ তাঁর শরীরের ৯০ শতাংশই পক্ষাঘাতগ্রস্ত৷ ফলে হুইলচেয়ার ছাড়া তিনি চলাফেরা করতে অক্ষম৷ মায়ের সঙ্গে সাইবাবার দেখা করানোর জন্য গত সপ্তাহে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন ওই অধ্যাপকের আইনজীবী আকাশ সোরডে৷ কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত৷ চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হতে পারে সাইবাবার মা ৭৪ বছরের গোকারাকোন্ডা সূর্যবতীর৷
advertisement
এর পর শেষ চেষ্টা হিসেবে গত শুক্রবার ভিডিও কলের মাধ্যমে ওই অধ্যাপকের সঙ্গে তাঁর মায়ের কথা বলানোর চেষ্টা করা হয় বলে দাবি করেছেন আইনজীবী আকাশ সোরডে৷ কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও জেল সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর৷
মায়ের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি জামিনের আবেদনে সাইবাবা দাবি করেছিলেন, যেহেতু শারীরিক ভাবে অক্ষম এবং কো-মর্বিডিটি রয়েছে, ফলে জেলে থাকলে তাঁর করোনা সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি৷ তিনি আরও অভিযোগ করেন, জেলে তাঁর ঠিকমতো চিকিৎসা করা হচ্ছে না৷ তার পরেও ওই প্রাক্তন অধ্যাপকের জামিন মঞ্জুর করেনি আদালত৷
যদিও জামিনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, সাইবাবার ভাই তাঁর মায়ের সঙ্গে ছিলেন৷ তার উপর, তাঁর মা যেখানে ছিলেন, সেটি কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় পড়ে৷ ফলে সেখানে গেলে ওই অধ্যাপকের করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাবে৷