তবে সব ব্যবসায়ী নয়, মঙ্গলবার সকালে গুটিকয়েক দোকান খোলা দেখা গেল। তবে সেগুলি শুধুমাত্র পয়লা বৈশাখের পুজো দেওয়ার জন্যই। পুরোহিত নয়, নিজেরাই মন্ত্র পড়ে পুজো করলেন। পুজো দিতে আসা গড়িয়াহাট মার্কেটের এক ব্যবসায়ী বলেন, "পুজো দিয়ে হালখাতা করে নিজের মনটাকে সন্তুষ্ট রাখলাম। প্রার্থনা করেছি যাতে করোনা ভাইরাস মুক্ত হয়ে দ্রুত আমরা নিজেদের জীবনে ফিরে যেতে পারি।" তবে নববর্ষের দিনে ও কার্যত শুনশান থাকলো গড়িয়াহাট চত্বর।
advertisement
দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট মার্কেটের এই ছবি দেখে কেউই অভ্যস্ত নয়। বিশেষত নববর্ষের দিন বা তার আগের চৈত্র সেল-এর দিনগুলোতে এই ছবি তো একেবারেই দেখা যায় না। কিন্তু এবছর করোনাভাইরাস ও তার জেরে চলা লকডাউন সেই ছবিটাই তুলে দিল। গতবছর নববর্ষের দিন রেকর্ড ভিড় হয়েছিল গড়িয়াহাট মার্কেটে। নতুন জামা-কাপড় কিনতে পয়লা বৈশাখের আগে আগেই পা রাখার জায়গা থাকে না গড়িয়াহাট চত্বর জুড়ে। কিন্তু এবছর লকডাউন কার্যত ছবিটা উল্টে দিল। গড়িয়াহাট মার্কেটের ছোট বড় ব্যবসায়ীরা বলছেন পহেলা বৈশাখের দিকে তাকিয়ে কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু লকডাউন ও করোনাভাইরাস এর সংক্রমণের জেরে কিভাবে এই আর্থিক ক্ষতি সামলাবে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ ব্যবসায়ীদের।
SOMRAJ BANDOPADHAYAY