সোজা চলে গিয়েছিলেন কেরলের বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা চেঙ্গান্নুরে। নিঃশব্দে সাধারণ মানু্ষের উদ্ধারের কাজ করেছেন। সেখানকার বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে ঘুরে ঘুরে কাজ করেছেন ৷ একবারের জন্যও কাউকে বুঝতে দেননি তাঁর আসল পরিচয় ৷ শেষপর্যন্ত কেরলের বুকস অ্যান্ড পাবলেকিশন সোসাইটির দফতরে ত্রাণ আনতে গিয়েই সেখানে গোপীনাথনকে প্রথম চিনতে পারেন এক সিনিয়র ৷ কাউকে কখনও না জানিয়ে যেভাবে তিনি চুপচাপ বন্যা দুর্গতদের জন্য কাজ করেছেন, তা প্রকাশ্যে আসার পরে রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে ৷ সবটা জানার পর বন্যা ত্রাণের কাজে থাকা অনেক সরকারি কর্মীরাই তাঁর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন ৷ কারণ কাজ চলাকালীন অনেক কর্মীরাই আইএএস অফিসার গোপীনাথনকে চিনতে না পেরে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার পর্যন্ত করে থাকতে পারেন, এই ভেবে ৷
advertisement
বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করবেন ৷ এটাই তাঁর লক্ষ্য ৷ এর জন্য কোনও প্রচার পেতে চাননি গোপীনাথন ৷ তাঁর পরিচয় প্রকাশ্যে আসার পর গোপীনাথন জানিয়েছেন, ‘‘এসব কাজ প্রচারের জন্য নয়। এমন কিছু আমি করিনি। শুধু দেখতে এসেছিলাম পরিস্থিতি। যাঁরা বন্যায় অসংখ্য দুর্গত মানুষকে উদ্ধার করেছেন তাঁরাই আসল নায়ক। তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন। এমনকী উত্তর–পূর্বের রাজ্যগুলি থেকেও অনেক স্বেচ্ছাসেবক এসে কাজ করেছেন কেরলের মানুষের জন্য।’