বুধবার সন্ধ্যায় বিপদের মুখে পড়া দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী ওই বিমানটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সাংসদও ছিলেন৷ ভারত-পাক সাম্প্রতিক সংঘাতের পর জম্মু কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবারই শ্রীনগর পৌঁছনোর কথা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ওই প্রতিনিধি দলের৷ ঘটনাচক্রে ইন্ডিগো-র ওই বিমানেই দিল্লি থেকে শ্রীনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন পাঁচ তৃণমূল সাংসদ৷ বিমানের বাকি যাত্রীদের মতো আতঙ্ক গ্রাস করেছিল তাঁদেরকেও৷ শেষ পর্যন্ত ভাল ভালয় শ্রীনগর পৌঁছে বিমানের পাইলটকে ধন্যবাদ জানান তৃণমূলের ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা৷
advertisement
যে পাঁচ তৃণমূল সাংসদ ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন তাঁরা হলেন ডেরেক ও ব্রায়েন, মানস ভুঁইয়া, সাগরিকা ঘোষ, মমতাবালা ঠাকুর এবং নাদিমুল হক৷ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ এনডিটিভি-কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, ‘প্রায় মৃত্যুমুখ থেকে ফিরলাম৷ ভেবেছিলাম আমার জীবন বোধহয় এখানেই শেষ৷ মানুষ আতঙ্কে চিৎকার, প্রার্থনা করতে শুরু করেন৷ ওই পরিস্থিতির মধ্যে থেকে যে পাইলট আমাদের বের করে এনেছেন তাঁকে কুর্নিশ৷ অবতরণের পর আমরা দেখলাম বিমানের সামনের অংশটুকুও ভেঙে গিয়েছে৷’
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে এটিসি-তে যোগাযোগ করে জরুরি অবতরণের অনুরোধ করেন বিমানচালক৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ নিরাপদেই শ্রীনগর বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি৷ বুধবার বিকেলের পর থেকেই দিল্লি সহ উত্তর ভারতের একাংশে তুমুল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়৷ সেই দুর্যোগের কবলেই পড়ে যায় ইন্ডিগোর বিমানটি৷
বিবৃতিতে ইন্ডিগো-র পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী উড়ান ৬ই ২১৪২ মাঝআকাশে আচমকাই শিলাবৃষ্টি এবং ঝড়ের কবলে পড়ে যায়৷ যদিও প্রতিষ্ঠিত নিয়ম মেনে বিমানকর্মী এবং পাইলটরা নিরাপদেই শ্রীনগর বিমানবন্দরে বিমানটিকে অবতরণ করান৷’ যদিও বিমানটির যা ক্ষতি হয়েছে তাতে মেরামতি না হওয়া পর্যন্ত সেটি আর আকাশে উড়তে পারবে না৷