প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ছিলেন বিজেপির অনিল আগরওয়াল। তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র কংগ্রেসের কার্তি চিদাম্বরম, ডি এম কে-র টি সুমাথি এবং সিপিআইএম এর জন বৃটাসের স্বাক্ষর রয়েছে চিঠিতে। স্থায়ী কমিটির এই পাঁচ সদস্য চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, লোকসভা চলাকালীন কোন কমিটির চেয়ারম্যান কে সরানো যায় না। তাঁদের আরও দাবি, অনেকগুলি ক্ষেত্রে রিপোর্ট তৈরি প্রায় শেষের পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। এই অবস্থায় চেয়ারম্যান চেঞ্জ করলে সংসদীয় কমিটি সমস্যায় পড়বে।
advertisement
এর আগে গত সপ্তাহে শশী থারুরকে চেয়ারম্যানের পর থেকে সরানোতে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। লোকসভার স্পিকারকে লেখা চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন বৃহত্তম বিরোধী দলকে এইভাবে অপমান করা যায় না। তার দাবি তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক না হলেও অন্তত প্রথম চারটি মন্ত্রকের যে কোনও একটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান করা হোক কংগ্রেসের কোনও সাংসদকে। উদাহরণ দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এর আগে বিদেশ প্রতিরক্ষা অর্থ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন কংগ্রেসেরই সংসদরা। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রথম চারটি বড় মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হন বৃহত্তম বিরোধী দলেরই কোনও সাংসদ। তিনি আরও জানিয়েছেন, যেভাবে সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পর তাদের জানানো হয়েছে, তাতে বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেস নিজেদের অপমানিত মনে করছে ।
এর আগে গত একুশে সেপ্টেম্বর লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সেই চিঠির কোনও জবাব না মেলায় আবারও লোকসভার স্পিকারকে চিঠি পাঠালেন অধীর চৌধুরী। সংসদের বৃহত্তম বিরোধী দলের সঙ্গে যাতে সম্মানজনক আচরণ করা হয়, সেই দাবি জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী।
কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা তাঁর চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছেন, এর আগে যখন কংগ্রেসের ৪২ জন সাংসদ ছিলেন সেই সময় অর্থ, প্রতিরক্ষা, বিদেশ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদ ছিল তাঁদের হাতে। এখন ৫৩ জন সাংসদ থাকা সত্ত্বেও উপরের কোনও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়নি কংগ্রেসের সাংসদকে। এই আচরণ কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী।