এর আগে অবশ্য এই ফিচ-ই আগামী অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫.১ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছিল৷ কিন্তু করোনার জেরে গোটা বিশ্বে আর্থিক মন্দার কারণে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার অনেকটাই কমে যেতে পারে৷ সত্যিই যদি ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ২ শতাংশে নামে সেক্ষেত্রে গত তিরিশ বছরে তা হবে সর্বনিম্ন৷
করোনা সংক্রমণের জেরে চিনে লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় সেখানকার উৎপাদন শিল্পে জোর ধাক্কা লেগেছিল৷ করোনার সংক্রমণ এর পর যত গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে, ততই স্থানীয়ভাবে মানুষ খরচে লাগাম টেনেছে৷ চিনে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে এলেও গোটা বিশ্বকে মন্দা গ্রাস করতে শুরু করেছে৷
advertisement
বিবৃতিতে ফিচ জানিয়েছে, 'ফিচ এখন মনে করছে যে গোটা বিশ্বই আর্থিক মন্দার কবলে পড়তে চলেছে৷ সেই কারণেই এর আগে ২০২১ সালে শেষ হতে চলা অর্থবর্ষের জন্য ভারতে ৫.১ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তা কমিয়ে ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে৷ আর তা হলে সেটা হবে গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন৷'
গত ২০ মার্চ ফিচ পূর্বাভাস দিয়েছিল, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫.১ শতাংশ হতে পারে৷ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে অবশ্য বৃদ্ধির হার ৫.৬ শতাংশ বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল ফিচ৷ কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা আরও কমিয়ে দেওয়া হয়৷
ফিচ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলি এবং পরিষেবা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি করোনার জেরে তৈরি হওয়া মন্দার কারণে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ মানুষ খরচায় হ্রাস টানার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷