এবার আসা যাক কারণে। এক মৎস্যজীবী জানান, মাছেদের পালানোর কারণ মুম্বইয়ের কুয়াশা। গত সপ্তাহ থেকে মুম্বইয়ের উপকূলীয় এলাকায় আরব সাগরের আকাশে ঘন কুয়াশা রয়েছে। এই কারণে সাধারণত ১৫-২০ নটিক্যাল মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা মাছগুলি উষ্ণ জলের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- মা, বোনেদের মদ খাইয়ে, গলায় ফাঁস! হোটেলের ঘরে হাড়হিম করা কাণ্ড ছেলের…
advertisement
আবহাওয়া দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পূর্ব দিকের বাতাস মুম্বই থেকে সমুদ্রের দিকে কুয়াশা বাড়িয়েছে। এটি বর্তমানে ৪০-৫০ নটিক্যাল মাইল এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত, যার ফলে মাছ ধরার জাহাজের দৃশ্যমানতা হ্রাস পায়। মৎস্যজীবী সমিতির প্রধান দেবেন্দ্র ট্যান্ডেল জানিয়েছেন, মাছ ধরার নৌকা এবং ট্রলারগুলিকে এখন ১০০ নটিক্যাল মাইল (ভারতের আঞ্চলিক জল ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত প্রসারিত) অতিক্রম করতে প্রচুর জ্বালানী বহন করতে হচ্ছে। মাছ উষ্ণ জলে চলে যাওয়ায় খরচ বেড়েছে মৎসজীবীদের। ফলে শহরের বাজারে মাছের দাম বাড়ছে।
আবহাওয়ার ধরণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কারণে মাছেদের চলার পথ পরিবর্তিত হয়েছে। সাধারণত বম্বে ডাক বা লটে মাছ ভার্সোভার কাছে ধরা পড়ত। এখন সেগুলি গুজরাটের পালঘরের কাছে পাওয়া যাচ্ছে। একইভাবে সার্ডিন ফিশ কোঙ্কন উত্তর থেকে দক্ষিণ মুম্বইতে স্থানান্তরিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিবর্তন সরাসরি আবহাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। এবার শুধু মুম্বই শহরেই দূষণ নয়, শহরাঞ্চল থেকে সমুদ্রের দিকে বাতাস বইতে থাকায় কুয়াশা জলের দিকেও চলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- ভুয়ো নথি ব্যবহার করে জাল আধার! নেই বৈধ কাগজও, ১৬ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার
কুয়াশার ফলে নৌকা ও ট্রলারের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলেরা। এছাড়াও জ্বালানি, হিমাগারে বরফ, রেশন ও নৌকা রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বেড়েছে। নৌকা দেরিতে ফিরছে পাড়ে।