সাথী এলাকার বাসিন্দা আনন্দ সিং। মাছ চাষি হিসেবে গোটা বিহারে তাঁর সুনাম। তিনিই পুকুরে সাড়ে ৪ ফুটের মাছ চাষ করেছেন। এই মাছের সঙ্গে কলকাতা যোগও রয়েছে। কারণ মাছ চাষ করতে কলকাতা থেকেই ডিম নিয়ে যান আনন্দ।
আরও পড়ুন: এই কাজটি না করে থাকলে বন্ধ হয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রী সম্মান নিধি যোজনার সুবিধা !
advertisement
চার থেকে সাড়ে চার ফুট লম্বা মাছ: নারকাটিয়াগঞ্জ ব্লকের সাথী এলাকার ছোট্ট গ্রাম সামহাউতার। এখানেই সপরিবারে বাস করেন আনন্দ। চম্পারণের প্রথম এবং একমাত্র কৃষক যিনি ৭ ইঞ্চি লম্বা চিংড়ি এবং মানুষের মতো প্রমাণ সাইজের মাছ চাষ করেছেন। আনন্দ জানান, মাছ চাষের জন্যে তাঁর ৬টি পুকুর রয়েছে। প্রতিটি পুকুরের আয়তন প্রায় ১ একর।
এসব পুকুরে ১১ ধরনের মাছ চাষ করেছেন আনন্দ। এর মধ্যে রয়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল, মাগুর, গ্রাস কার্প, সিলভার কার্প, কমন কার্প এবং চিতল, চিংড়ি এবং ৪ থেকে সাড়ে ৪ ফুট আকারের দৈত্যাকার সব মাছ। আনন্দ জানান, সাধারণত চিতলের আকার ছোট হলেও ২ বছর পুকুরে রেখে দিলে তার আয়তন ৫ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এখনও পর্যন্ত চার থেকে সাড়ে চার ফুট লম্বা চিতল মাছের চাষ করেছেন তিনি। ওজন ২০ কেজি। দাম প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
মাছ চাষ করেই বছরে ১৬ থেকে ১৭ লাখ টাকা আয়: আনন্দ জানান, তিনি ৪ থেকে ৫ মাসের চারা মাছ কেনেন। এসময় ওজন থাকে ৩ থেকে ৪ কেজি। শুধু মাছ চাষ করেই বছরে ১৬ থেকে ১৭ লাখ টাকা আয় হয় তাঁর। চাষ করতে আনন্দর খরচ হয় ৬ লাখ টাকা।
অনেকে বিয়ের জন্যেই তাঁর কাছ থেকে মাছ নিয়ে যান। এখানে প্রায় সব মাছের দামই প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে। মাত্র ১৫০ টাকা কেজিতেও কিছু মাছ বিক্রি করেন আনন্দ। আনন্দ জানান, তিনি সহজেই প্রতি বছর প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কুইন্টাল মাছ উৎপাদন করেন।