সালটা ছিল ১৯৭০ ৷ দেশের মন্দিরে ‘পৌরহিত্য পেশায়’ কোনও জাত-পাতের বিভেদ থাকবে না ৷ ব্রাহ্মণ ছাড়াও অব্রাহ্মণ, সমাজের তফসিলি জাতি এবং উপজাতির অন্তর্ভুক্ত কোনও ব্যক্তিও মন্দিরের পুরোহিত হতে পারবেন ৷ এমনই একটি বিষয়ই সুপ্রিম কোর্টে পাশ করানোর চেষ্টা করেন তিনি ৷ তবে, ১৯৭০ সালে সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করে ৷ পরে ২০০৬ সালে ফের সেই অর্ডারটি রাজ্যে পাশ করান করুণানিধি ৷ এরপর সুপ্রিম কোর্টেও ওঠে বিষয়টি ৷ তবে, এবার সুপ্রিম কোর্ট করুণানিধির এই নির্দেশকে সমর্থন করে ৷
advertisement
করুণানিধির যুক্তি ছিল, মন্দিরে পৌরহিত্য করার অধিকার সকলেরই রয়েছে ৷ শুধুমাত্র ব্রাহ্মণদের এই অধিকার থাকলে অন্যদের মনে ক্ষোভ থাকতে পারে ৷ সেই ক্ষোভ দূর করতেই দশকের পর দশক ধরে চলে আসা নিয়মের বিরোধিতা করেন করুণানিধি ৷
২০০৬ সালে এই নির্দেশ পাশ হতেই ২০৬ জন পুরোহিতের ট্রেনিং নিতেও শুরু করেন ৷ যাদের মধ্যে ২৪ জন ছিলেন তফসিলি জাতি/উপজাতির ৷ যারা তামিলনাড়ুর একাধিক মন্দির থেকে এবং চ্যারিটেবল এনডাউনমেন্ট বিভাগ থেকে জুনিয়ার পুরোহিতের সার্টিফিকেট পান ৷
প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের একটি মন্দিরে অব্রাহ্মণ পুরোহিত নিয়োগ করা হয়েছে ৷ তবে, গোটা বিষয়টি এখনও অবধি গোপন রাখা হয়েছে সরকারের থেকে ৷ পুরো ঘটনাটি জানার পর দর্শনার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ বিরোধিতা করতে পারেন ৷ এরফলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে ৷ সেই কারণে আপাতত নয়া অব্রাহ্মণ পুরোহিত নিয়োগের গোটা বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে ৷