মৃত ওই আধিকারিকের নাম নভজ্যোৎ সিং (৫২)৷ তিনি ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যাফেরার্সের ডেপুটি সেক্রেটারি পদে ছিলেন৷ দিল্লির হরি নগরের বাসিন্দা ছিলেন৷
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার বিকেলে দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশনের কাছে রিং রোডের উপরে এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ নিজের মোটরসাইকেলে নিয়ে ফিরছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের ওই শীর্ষ আধিকারিক৷ তখনই একটি বিএমডব্লিউ-র সঙ্গে ওই তাঁর মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়৷
advertisement
জানা গিয়েছে, গগনদীপ সিং নামে এক মহিলা ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন৷ তাঁর স্বামীও ওই সময় গাড়িতে ছিলেন৷ দুর্ঘটনার পর ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামীই কেন্দ্রীয় সরকারের ওই আধিকারিক এবং তাঁর আহত স্ত্রীকে ওই দম্পতিই একটি ট্যাক্সি হাসপাতালে নিয়ে যায়৷
যদিও ওই দম্পতির বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন মৃত ওই আমলার ছেলে৷ তাঁর প্রশ্ন ঘটনাস্থলের কাছাকাছি কোনও হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে কেন প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেন ওই দম্পতি৷ শুধু তাই নয়, ওই হাসপাতালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মৃতের ছেলে৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর নভজ্যোৎ সিং নামে ওই আমলার মৃত্যু হয়৷ তাঁর স্ত্রীও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ বিএমডব্লিউ গাড়িতে থাকা ওই দম্পতিও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷
পুলিশও জানিয়েছে, যে জায়গায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে তার থেকে ওই হাসপাতালের দূরত্ব ১৯ কিলোমিটার৷ পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ওই হাসপাতালের মালিকও বিএমডব্লিউ গাড়িতে থাকা দম্পতির পরিচিত৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যেই পরিচিত কারও হাসপাতালে নভজ্যোৎ সিং এবং তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয়৷
এর পাশাপাশি পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই মহিলা চালকের আসনে থাকলেও গাড়িটি তাঁর স্বামী পরীক্ষিত কক্করের নামে নথিভুক্ত ছিল৷ এই দুর্ঘটনার পর পুলিশ যে এফআইআর দায়ের করেছে, তাতে বিএমডব্লিউ-এর চালক গগনদীপ সিং এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে তথ্যগোপন এবং প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এনেছে পুলিশ৷ ওই দম্পতি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় এখনও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি পুলিশ৷