সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, বেসরকারি বিনিয়োগ টেনে পরিকাঠামোর সংস্কার এবং বিকল্প আয়ের রাস্তা তৈরি করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।সেক্ষেত্রে পাওয়ার গ্রিড পাইপলাইন বা জাতীয় সড়কের মতো বিষয়গুলিতে এবার বেসরকারি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে কেন্দ্র। এই মর্মে ইতিমধ্যেই কাজও শুরু করে দিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট।
দীপনের সচিব তুহিন কান্ত পান্ডে এই প্রসঙ্গে বলেন, সরকারের পরিকল্পনা এই পথে সরকারি সম্পত্তিকে কাজে লাগিয়ে ৬ লক্ষ কোটি টাকা আয় করা। এটি মূলত চার বছরের একটি পরিকল্পনা।
advertisement
কেন্দ্র বলছে, ইতিমধ্যেই রেল এবং বিমান পরিষেবা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ফল দিয়েছে। ভবিষ্যতেও বেসরকারি সংস্থার বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক আয় করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে তালিকা তৈরি থাকলে বিনিয়োগকারীদের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গুলি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকবে।
এ বছরের বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন, নতুন করে পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হলে বিনিয়োগ চাই। বিনিয়োগকারীরা যাতে ধারণা পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে একটি জাতীয় মনিটাইজেশন পাইপলাইন গড়ে তোলা জরুরি। এক্ষেত্রে এমন একটি ড্যাশবোর্ড রিয়েল-টাইমে কাজ করবে যাতে বিনিয়োগকারীরা সবসময় স্বচ্ছভাবে বুঝতে পারেন কোন প্রকল্প কিরকম বিনিয়োগ চাইছে সরকার।
সূত্রের খবর, এই প্রকল্পে আগামী তিন বছরে সড়ক পরিবহন থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা আয় করতে চায় সরকার। আগামি কাল এই প্রকল্পের উদ্বোধনে নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে থাকবেন নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান ডক্টর রাজীব কুমার এবং সিইও অমিতাভও কান্ত।